যখন ১২০ ডিগ্রী ব্যবধানে অবস্থিত তিনটি কয়েল এমনভাবে সংযোগ করা হয় যে প্রথমটির শেষ প্রান্ত দ্বিতীয়টির প্রথম প্রান্ত, দ্বিতীয়টির শেষ প্রান্ত তৃতীয়টির প্রথম প্রান্ত এবং তৃতীয়টির শেষ প্রান্ত প্রথমটির প্রথম প্রান্ত সংযোগ করা হয় তাহলে উক্ত সংযোগকে ডেল্টা Δ কানেকশন বলে। একে মেশ কানেকশন ও বলা হয়ে থাকে।
ডেল্টা কানেকশন স্টেপ বাই স্টেপ কিভাবে করতে হয় তাই দেখবোঃ

চিত্র – ১ঃ তিনটি লাইন নেয়া হয়েছে এবং লাইনের মাঝখানে ফাঁকা রাখা হয়েছে।
চিত্র – ২ঃ তিনটি লাইনের মাঝখানে তিনটি কয়েল আঁকা হয়েছে।

চিত্র ৩ঃ কয়েল তিনটি নামকরন করা হয়েছে U, V, এবং W দিয়ে। এবং প্রতিটি কয়েলের শুরুর প্রান্ত এবং শেষ প্রান্ত নাম্বার দিয়ে সনাক্ত করা হয়েছে (শুরু ১ এবং শেষ ২)
চিত্র ৪ঃ প্রতিটি কয়েলের শুরুর অংশকে U1, V1, W1 এবং শেষের অংশকে U2, V2, W2 দিয়ে মার্ক করা হয়েছে।

চিত্র ৫, ৬ঃ চিত্র ৫ এবং ৬ নং এ ডেল্টা কানেকশন চিত্র দেখানো হয়েছে। লক্ষ্য করুন, প্রতিটি কয়েলের ২ নম্বর প্রান্তের সাথে পরবর্তী কয়েলের ১ নম্বর প্রান্ত যুক্ত রয়েছে অর্থাৎ (U2 V1), (V2 W1), (W2, U1) যুক্ত রয়েছে।
এবার চলুন Practically আমরা কিভাবে ডেল্টা কানেকশন দিব সেটা বুঝার একটু চেষ্টা করি। আমরা জানি যে থ্রি ফেজ মােটরের টার্মিনাল থেকে বের হয় ০৬ টি তার। কিন্তু পৃথিবীর কোথাও ০৬ টি ফেজ নেই। আর সব দেশের মত আমাদের বাংলাদেশেও ফেজ রয়েছে মাত্র তিনটি।
মােটরের ০৬ টি তারের সাথে পিডিবি বা আরইবির লাইনের তিনটি তারকে ব্যবহার করে ডেল্টা পদ্ধতিতে সংযােগ দিয়ে মােটর চালাতে হয়।

চিত্র – ৭ এ একটি মোটর এবং চিত্র – ৮ এ থ্রি ফেজ লাইনের সাথে মোটরের কানেকশন দেয়া হয়েছে। লক্ষ্য করুন, প্রথম ফেজের শুরুর প্রান্তের নাম U1, ২য় ফেজের V1 এবং সর্বশেষ ফেজের নাম W1. একইভাবে মােটরের ফেজের শেষ প্রান্ত U2, V2 এবং W2 দেয়া হয়েছে।
চিত্র – ৮ এর ন্যায় সাধারণত মোটরকে ডেল্টাতে এভাবে কানেকশন করা হয়। মনে রাখতে হবে, ভারী মোটরকে ডেল্টাতে সরাসরি চালানো যাবে না, মোটর পুড়ে যেতে পারে। একারনে মোটরকে প্রথমে স্টারে কিছু সেকেন্ড চালিয়ে ডেল্টা সংযোগে চালাতে হয়। পরবর্তীতে এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
এবার পাঠ্যপুস্তক বইয়ের সাথে নিচের চিত্রের তুলনা করুন।

courtesy: Nazmul Hoque
Helpful post
Tnx for your post