আমরা যারা ইলেক্ট্রনিক্সের প্রজেক্ট করতে চাই তাদের সবারই একটা জিনিসের প্রয়োজন হয়, আর তা হলো পাওয়ার সাপ্লাই। বলা হয়ে থাকে যে কোন ইলেক্ট্রনিক্স সার্কিটের প্রান হলো পাওয়ার সাপ্লাই।
আমরা ইলেক্ট্রনিক্সের ক্ষেত্রে দুইভাবে পাওয়ার সাপ্লাই করে থাকি। এক হলো ব্যাটারী দিয়ে এবং অপরটি হলো বিদ্যুতের সাহায্যে।
ব্যাটারি দিয়ে পাওয়ার সাপ্লাই একদম সহজ। ব্যাটারির ভোল্ট অনুযায়ী সার্কিটে পজিটিভ এবং নেগেটিভ প্রান্তে যুক্ত করলে হয়ে যাবে।
আমরা বাসা-বাড়িতে বিদ্যুতের সাহায্যে পাওয়ার সাপ্লাই তৈরি করতে পারি। আমরা জানি যে বাসাবাড়িতে সাধারণত ২২০ ভোল্ট থাকে।
কিন্তু আমাদের ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রপাতি অনেক কম ভোল্টে চলে তাই এই ভোল্টেজ কে কমিয়ে আনাতে হবে। আমরা ইতিমধ্যে ট্রান্সফরমার লিখায় থেকে জেনেছি যে স্টেপ ডাউন ট্রান্সফরমার ভোল্টেজ কে কমানোর জন্য ব্যবহার করা হয়।
প্রয়োজনী কম্পোনেন্ট এর তালিকাঃ
- ট্রান্সফরমারের ১২ ভোল্ট ৩ এম্পিয়ার।
- চারটি রেক্টিফায়ার ডায়োড-1N4007 বা 1N5400
- একটি ৪৭০০ মাইক্রোফ্যারাডের মানের ক্যাপাসিটর।
মূল্য তালিকাঃ
শুরুতেই বলে রাখি, আমরা যে মূল্য তালিকা দিয়েছি তা শুধুমাত্র আপনাদের একটা ধারনা দেওয়ার জন্য। বাজারে এর চেয়ে মূল্য কম বা বেশি হতে পারে। এর জন্য ভোল্টেজ ল্যাব দায়ি থাকবে না।
- ট্রান্সফরমারঃ এর দাম হতে পারে ১২০ থেকে ২০০ ভিতরে।
- চারটি ডায়োডের দাম হতে পারে ১২ থেকে ২০ টাকার ভিতরে।
- ক্যাপাসিটরের দাম ১৫-৪০ টাকা।
সার্কিট ডায়াগ্রাম:
শুরুতেই একটি ট্রান্সফরমার ব্যবহার করা হয়েছে যা ভোল্টেজকে স্টেপ ডাউন করেছে। এটি ২২০ ভোল্টকে কমিয়ে ১২ ভোল্টে আনবে। মনে রাখতে হবে যে ট্রান্সফরমারে আউটপুটে ১২ ভোল্ট পাবো সেই ১২ ভোল্ট হলো এসি ভোল্টেজ।
আপনার যদি আউটপুটে ৬ ভোল্ট বা ৯ ভোল্ট বা ১২ ভোল্টের আউটপুট প্রয়োজন হয় তাহলে আপনি এই মানের ট্রান্সফরমার ব্যবহার করলেই হবে।
এরপরেই চারটি ডায়োড ব্যবহার করা হয়েছে। এই চারটি ডায়োডকে ব্রীজ রেক্টিফায়ার আকারে সংযোগ করা হয়েছে। এই ডায়োড গুলো ১২ ভোল্ট এসিকে ডিসিতে রূপান্তরিত করবে।
এরপরে আমরা একটা ক্যাপাসিটর দেখতে পাচ্ছি। এই ক্যাপাসিটরের কাজ ফিল্টারিং করা বা রিপল দূর করা। ক্যাপাসিটর ১২ ভোল্টেজ কে বিশুদ্ধ ডিসিতে রূপান্তরিত করবে।
নিচে ছবি দেখলে আশা করি ব্যাপারটা বুঝতে পারবেন।
এই প্রজেক্ট সম্বন্ধে আপানাদের কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করুন। সবাই ভালো থাকবেন এই প্রত্যাশাই আজকের মতো বিদায়।