১৩০০ কোটি বছর আগের ছায়াপথের ছবি পেল নাসা। কিন্তু কিভাবে সম্ভব? আর্টিকেলটির শিরোনাম পড়েই হয়ত অনেকের চোখ কপালে উঠে এসেছে। কিন্তু এত আশ্চর্য হবারও কোন অবকাশ নেই। কারণ, বর্তমান প্রযুক্তি অনেকটাই এগিয়েছে। সে স্থানে নাসা এলিয়েনকে বশে এনে চা বানিয়ে নিচ্ছে এই নিউজটা পাননি সেটাই অনেক। যাই হোক আজকের আর্টিকেলে মূলত এই ছবি কিভাবে নেয়া হল তার প্রক্রিয়াটি আলোচনা করব।
কিভাবে ১৩০০ কোটি বছর আগের ছায়াপথের ছবি তোলা সম্ভব হল?
এই ছবি তোলা থেকে শুরু করে সকল প্রকার রিসার্চমূলক কাজ পরিচালনা করছে ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোর একটি দল। সেই দলে রয়েছেন একজন বাংলাদেশীও যার নাম লামীয়া আশরাফ মওলা। যাই হোক উপাত্তভিত্তিক আলোচনা করে আর্টিকেল দীর্ঘায়িত করে বোরিং করতে চাইনা। চলে আসি মূল আলোচনায়। কিভাবে সম্ভব হল ১৩০০ কোটি বছর আগের ছায়াপথের ছবি তোলা?
এই যাদুকরি টেলিস্কোপের নাম হল জেমস টেলিস্কোপ যার সাহায্যে এই অভূতপূর্ব কাজ সম্পাদন হয়েছে। মহাকাশে রয়েছে অসংখ্য নক্ষত্র, ধূলিকণা, গ্যাসীয় সমাহার যাকে সংঘবদ্ধভাবে বলা হয় ছায়াপথ। ছায়াপথ নিয়ে ক্রমশই সম্প্রসারিত হচ্ছে আমাদের পৃথিবী। এটা আমার উক্তি নয়। শত বছর আগে এডুইন হাবল এই কথা বলে গেছেন। পৃথিবীর উদ্ভবই হয়েছে একটি বিন্দু থেকে। আজকের যে সুবিন্যস্ত ছায়াপথ তা কিন্তু বিলিয়ন বছর পূর্বে এমন ছিলনা। “বিগ ব্যাঙ” বা মহাবিস্ফোরণের পর পৃথিবীতে হাইড্রোজেন, হিলিয়াম, ধূলিকণা বিভিন্ন পদার্থের সংমিশ্রণে সৃষ্টি হয় সুবিশাল নক্ষত্ররাজি। আর পরবর্তীতে সৌরজগত।
এই বিগ ব্যাঙ এর গল্প আমরা সবাই শুনেছি। কিন্তু ১৩ বিলিয়ন বছর আগের ছায়াপথকে ফ্রেমবন্দী করা যেনতেন ব্যাপার নয়। কারণ অন্ধকারবিশিষ্ট ছায়াপথের ডিজিটাল এবং রঙিন ইমেজ ধারণ বেশ চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার।
ছায়াপথ এর ধূলিকণা, গ্যাসীয় আয়নসমূহ সর্বদাই আলো শোষণ করে নেয় এবং ইনফ্রারেড ওয়েব রেডিয়েশন করে। আর এই রেডিয়েশনে একমাত্র কাজ করতে পারে জেমস টেলিস্কোপ। চলুন খুব সংক্ষেপে জেনে আসি জেমস টেলিস্কোপ নিয়ে।
জেমস টেলিস্কোপ
জেমস টেলিস্কোপ তিনটি দর্পণ বা আয়না নিয়ে গঠিত। প্রথম দর্পণটি ১৮টি হেক্সাগোনাল আকারের দর্পণের সমন্বয়ে গঠিত। আয়নাগুলো গোল্ডের প্রলেপ লাগানো বেরিলিয়াম ধাতুর তৈরী। গোল্ড ইনফ্রারেড রেডিয়েশনের জন্য একটি উত্তম রিফ্লেক্টর এবং রাসায়নিকভাবে তুলনামূলকভাবে নিষ্ক্রিয়। অন্যদিকে বেরিলিয়াম হালকা এবং অধিক তাপমাত্রাতেও সংকুচিত হয়না।
সর্বোপরি, মহাকাশ হল রহস্যের আধার। এই সব রহস্যের সমাধানের নেশায় মত্ত হয়েছে নাসা ও বিভিন্ন মহাকাশ গবেষণামূলক সংস্থা। এই রহস্যমূলক টপিকগুলো অন্য রকম বিশ্লেষণ পেতে ভোল্টেজ ল্যাবের সাথেই থাকুন
আরো কিছু আর্টিকেল পড়ুন