মেট্রোরেল নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যা জেনে রাখা জরুরি | Dhaka Metro Rail

খুব শীর্ঘ্রই বাংলাদেশে চালু হতে যাচ্ছে মেট্রোরেল। বহুল প্রতীক্ষার পরে অবশেষে সেই কাঙ্ক্ষিত দিনটি এল। ঢাকার আন্তঃনগরে এই ট্রেন সার্ভিসটি চালু থাকবে। তবে যেহেতু এই প্রজেক্টটি আমাদের দেশের জন্য সম্পূর্ণ নতুন সেহেতু এই মেট্রোরেল নিয়ে কিছু তথ্য জেনে রাখা অতীব জরুরি। আজ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি সেসব তথ্যাদি তুলে ধরার চেষ্টা করব। চলুন শুরু করা যাক।

মেট্রোরেল সংক্রান্ত যেসব তথ্যাদি জেনে রাখা জরুরি

মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ

শুরুতেই বলে রাখা ভাল যে মেট্রোরেলের সাথে বাংলাদেশ রেলওয়ের সাথে এর কোন যোগাযোগ নেই। এটি সম্পূর্ন নতুন একটি প্রতিষ্ঠান Dhaka Mass Transit Company Ltd এর আওতাভূক্ত একটি প্রকল্প। যার প্রকৌশলী থেকে শুরু করে কর্মচারী পর্যন্ত সবাই নতুনভাবে নিয়োগ প্রাপ্ত।

মনিটরিং এবং রক্ষণাবেক্ষণ

ঢাকা মেট্রোরেলের উদ্বোধনের পর থেকে এটি ৫ বছর জাপানিজ ও দেশীয় প্রকৌশলীদের যৌথ মনিটরিং এ থাকবে।

পাওয়ার সাপ্লাই

ঢাকা মেট্রোরেলের Dedicated power supply থাকবে। যেটা সাধারণত গণভবন বা বঙ্গভবন অথবা সেনা সদরে থাকে । গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বিধায় এর ব্যাক আপ পাওয়ার সাপ্লাইয়ের জন্য নিজস্ব পাওয়ার সাপ্লাই থাকবে।

ট্রেনের ইলেকট্রিফিকেশন এবং ঝুঁকি

আমাদের দেশে একটি সাধারণ দৃশ্য হল ট্রেনের ছাদে বসে বাড়ি যাওয়া। বিশেষ করে ঈদের সময় এই দৃশ্য দেখা যায়। কিন্তু মেট্রোরেলে ছাদের উপর বসা যাবেনা। এটা জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হবে। কারণ এই ট্রেনের বিদ্যুতায়ন ১১ কিলোভোল্ট ভোল্টেজের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে। তাই বুঝতেই পারছেন, এত বেশি ভোল্টেজে শক খেলে তন্দুরি চিকেনের মত ঝলসাতে বেশি টাইম লাগবেনা।

স্বয়ংক্রিয় টিকেটিং (Card System)

অনেক সময় দেখা যায় টিকেট চেকারের চোখ এড়িয়ে গিয়ে বিনা টিকেটেই যাত্রীরা বেশ আয়েশ করে ভ্রমণ করছে। কিন্তু মেট্রোরেল সিস্টেমে এমন অনিয়ম অসম্ভব। আপনাকে একটি প্রিপেইড কার্ড দেয়া হবে। আপনার সংশ্লিষ্ট কার্ডের পাসওয়ার্ডটি সেন্স করতে পারলেই আপনার জন্য রেলের দরজা খুলে যাবে। আর বিনা সঠিক পাসওয়ার্ডে ঢুকতেই পারবেন না। এটি জাপানের কাওয়াসাকি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ এ তৈরী।

মেট্রোরেলের আসন

ট্রেনের আসনগুলো শক্ত প্লাস্টিকের তৈরী যেগুলো Heavy Tempered প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। তাই সিট কাটা, ভাংচুরের কোন প্রশ্নই আসেনা।

ট্রেনের গ্লাস প্রটেকশন

আমাদের দেশে প্রায় দেখা যায় কিছু দুষ্ট ছেলে ট্রেনের জানালায় ঠিল মেরে যাত্রীদের আহত করছে। এই ট্রেনের সকল গ্লাস বুলেট প্রুফ। ইট মারেন কিংবা হাতুড়ি দিয়ে পিটালেও গ্লাস ভাঙ্গবে না।

হকারের উঠানামা

কোন প্রকার হকার বা ভাসমান বিক্রেতাকে ট্রেনে উঠতে দেয়া হবেনা। কারণ নির্দিষ্ট সময় থেকে বেশি থাকলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভাড়া বেশি গুনতে হবে।

ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং

প্রতি বগিতে ছাদের সাথে ক্যামেরা ফিট করা আছে। প্রতি মুহুর্তে যাত্রীদের গতিবিধি মনিটরিং করা হবে।

আরো কিছু আর্টিকেল

বজ্রপাতের ভোল্টেজ কিভাবে পরিমাপ করা হল? | ব্রেকডাউন স্ট্রেন্থ

জাহাজ এবং উড়োজাহাজে কিভাবে আর্থিং করা হয়?

সাবমেরিন কিভাবে গভীর সমুদ্রের নীচে চলাচল করে?