অনেক দিন আগের কথা। এক জুটি ছিল যার কাহিনী টাইটানিকের জ্যাক-রোজ জুটিকেও হার মানাবে। কি সেই কাহিনী? কাহিনীটা হল ঐ জুটি পরস্পরকে খুব ভালবাসত একে অপরের কাছে যেতে চাইত সর্বদা। তো এতে সমস্যা কোথায়? সমস্যা হল দুই পক্ষের পরিবার। মেয়েটি ছিল ধনী পরিবারের। আর ছেলেটি ছিল নিম্নবিত্ত। তাই মেয়েটির ফ্যামিলি & ছেলেটির ফ্যামিলি কেউ ই চাইত না তাদের মিলন হোক। ফলে সৃষ্টি হয় বিরহ।
কিন্তু এবার জুটিটি সিদ্ধান্ত নিল তারা এই বাধা ভেঙে পালিয়ে যাবে আর বিয়ে করে নিবে। অবশেষে তারা এই বাধা ভেঙে পালিয়ে গেল & বিয়ে করে নিল। খুব রোমান্টিক না গল্প টা? 🙂 এ গল্পটা বলেছি আপনাদের ডায়োড বুঝানোর জন্য।
ডায়োড এ একটা জুটি থাকে যার নাম হোল – ইলেকট্রন। ডায়োডের P type এর হোল সর্বদাই চায় N type এর ইলেকট্রন এর সাথে মিলিত হতে। কিন্তু তাদের ক্ষেত্রেও বাধা প্রদান করে মাইনোরিটি ক্যারিয়ারগুলো।
P টাইপ এর হোল যখন N type এর ইলেকট্রন এর দিকে ছুটে যায় তখন P টাইপ এর কিছু সংখ্যক ইলেকট্রন আর N type এর কিছু সংখ্যক হোল তাদের মিলিত হতে বাধা দেয়। যার ফলে সৃষ্টি হয় বিরহ বা Barrier layer. (উপরে প্রথম চিত্রে দেখানো হয়েছে)
তারপর যখন এতে 0.3 / 0.7 volt প্রদান করা হয় তখন barrier টা ভেঙে যাবে। তখন হোল – ইলেকট্রন এর মিলন হবে। আর এই ভোল্টেজ কে Threshold Voltage or Breakdown Voltage or Knee Voltage বলে।
- ফলে, জুটির নাম — হোল ইলেকট্রন
- তাদের পরিবার —- মাইনোরিটি ক্যারিয়ার ( P এর জন্য ইলেকট্রন & N এর জন্য হোল)
- বিরহ —- Barrier layer
- পালিয়ে বিয়ে করা —– Threshold Voltage / Knee Voltage (0.7 / 0.3 volt)