রেজিস্টর কি এবং বিস্তারিত আলোচনা | Resistor Bangla

ইলেকট্রনিক্স সম্বন্ধে অধ্যয়ন করতে গেলে প্রথমে যে নামটি আসে তা হলো Resistor. এটি মূলত ইলেকট্রনিক্স এর একটি সাধারন কম্পোনেন্ট। প্রতিটি ইলেকট্রনিক্স সার্কিটে এই কম্পোনেন্টটি ব্যবহার করা হয়। যারা ইলেকট্রনিক্স নিয়ে কাজ করেন তাদের কাছে রেজিস্টর খুবই পরিচিত একটি কম্পোনেন্ট। এর বিশেষ একটি কাজ আছে।

এই লেখাতে আমরা রেজিস্টর সম্বন্ধে যে সকল বিষয় আলোচনা করবো তা হলোঃ

  1. রেজিস্টর কাকে বলে?
  2. রেজিস্ট্যান্স কি?
  3. রেজিস্টরের প্রতীক, একক।
  4. প্রকারভেদ।
  5. প্রধান কাজ।
  6. রেজিস্টর সার্কিটে সংযোগ পদ্ধতি।

Resistor:

Resistor একটি ইংরেজি শব্দ যার বাংলা অর্থ হচ্ছে রোধক। রোধ শব্দ থেকে বুঝা যায় যে এটি বাধা প্রধানকারী একটি উপাদান। কোন পরিবাহির মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ বাধা প্রধানকারী ডিভাইসকে Resistor বলে। এটি মূলত দুই প্রান্ত বিশিষ্ট একটি প্যাসিভ ইলেকট্রিক্যাল ডিভাইস।

রেজিস্ট্যান্সঃ

পরিবাহির যে বৈশিষ্টের কারণে বিদ্যুৎ প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হয় তাকে রেজিস্ট্যান্স বলে।

প্রকাশ, প্রতীক ও একক:

রোধকে R দিয়ে প্রকাশ করে হয়। এর একক ওহম (Ω). নিচের চিত্রে রেজিস্টরের কিছু প্রতীক দেওয়া হলো যেগুলো বিভিন্ন সার্কিট বোর্ড ও সার্কিট ডায়াগ্রামে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

প্রকারভেদঃ  

Resistor মুলত দুই প্রকার:

  1. ফিক্সড রেজিস্টর
    • কার্বন কম্পোজিট
    • কার্বন পাইল
    • কার্বন ফিল্ম
    • প্রিন্টেড কার্বন
    • থিক এবং ফিল্ম
    • মেটাল ফিল্ড
    • মেটাল অক্সাইড ফিল্ড
    • ওয়্যার উন্ড
    • ফয়েল
  2. ভেরিয়েবল রেজিস্টর
    • এডজাস্টেবল
    • পটেনশিওমিটার
    • রেজিস্ট্যান্স ডিকেড বক্স

ফিক্সড রেজিস্টর:

যে Resistor এর মান ফিক্সড থাকে বা যে রেজিস্টরের মান তৈরি করার সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয় এবং যার মান পরিবর্তন করা সম্ভব না তাকে ফিক্সড বা অপরিবর্তনশীল Resistor বলে।

Resistor
Resistor

ভেরিয়েবল রেজিস্টর:

যে রেজিস্টরের মান প্রয়োজন অনুসারে বাড়ানো-কমানো সম্ভব তাকে ভেরিয়েবল রেজিস্টর বা পরিবর্তনশীল রেজিস্টর বলে।

Resistor

রেজিস্টরের কাজঃ

সার্কিটে কারেন্ট প্রবাহে বাধা প্রধান করা বা ভোল্টেজ ড্রপ ঘটানোই রেজিস্টরের প্রধান কাজ। এক্ষেত্রে প্রশ্ন আসতে পারে কেন সার্কিটে বা কোন পার্টসকে কম ভোল্ট বা কারেন্ট প্রবাহে বাধা প্রধান করার প্রয়োজন পরে।

এ বিষয়টি একটি উদাহরনের মাধ্যমে আমরা সহজে বুঝতে পারব, ধরুন একটি সার্কিটে এল.ই.ডি.( লাইট ইমেটিং ডায়োড ) আছে যার ভোল্টেজ রেঞ্জ ১.৫ থেকে ৩ ভোল্ট। এখন কোন কারনে যদি সার্কিটে সোর্স ভোল্টেজ ৩ ভোল্টের বেশি চলে আসে তখন কম্পোনেন্ট (এল ই ডি ) টি নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

এ জাতীয় বিষয় যেনো না ঘটে এর জন্য সার্কিটে রেজিস্টর ব্যবহার করা হয়। Resistor এল ই ডি এর ক্ষেত্রে ৩ ভোল্টের বেশি ভোল্টেজ কে ড্রপ করে দিবে। এছাড়া রেজিস্টর প্রয়োজন মোতাবেক কারেন্ট ও ভোল্টেজ সরবরাহ করে থাকে।

আমরা এখানে শুধুমাত্র একটি এল ই ডি এর ক্ষেত্রে উদাহরণ দিলাম। কিন্তু Resistor মূলত সকল ক্ষেত্রেই এই ধরনের কাজ করে থাকে।

সার্কিটে Resistor সংযোগ পদ্ধতিঃ

সিরিজ সার্কিটে সংযোগ:

সিরিজ একটি ইংরেজি শব্দ যার বাংলা অর্থ হলো ধারাবাহিকভাবে। তাহলে এই ক্ষেত্রে একাধিক লোড (রেজিস্টর) একের পর এক বৈদ্যুতিক সোর্সের সাথে সংযুক্ত করে কারেন্ট প্রবাহের একটি পথ তৈরি করা হয়।

Resistor

প্যারালাল সার্কিটে সংযোগ:

একাধিক লোড (রেজিস্টর) বৈদ্যুতিক উৎসের সাথে আড়াআড়িতে এমনভাবে (নিচের চিত্রের মতো) সংযুক্ত করা হয় যাতে কারেন্ট প্রবাহের একাধিক পথ থাকে।

Resistor

রেজিস্টরের মান নির্ণয় পদ্ধতি লেখাটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন।

সোর্সঃ ওয়িকিপিডিয়া

রেজিস্টর নিয়ে ভিডিও দেখুন