লোড হলো এমন একটি ডিভাইস যা ইলেকট্রিক্যাল এনার্জি গ্রহন করে। এভাবেও বলা যায়, যে সকল ডিভাইস সাধারণত ইলেকট্রিক্যাল এনার্জি গ্রহন করে ও বিভিন্ন শক্তিতে (তাপ, আলো ইত্যাদি) রূপান্তরিত করে তাকে ইলেকট্রিক্যাল লোড বলে যেমন: বাতি – এটি ইলেকট্রিক্যাল শক্তি থেকে আলো উৎপন্ন করে, মোটর – এটি ইলেকট্রিক্যাল শক্তি থেকে যান্ত্রিক শক্তি উৎপাদন করে।
লোড টার্ম-টি যেসকল কারনে ব্যবহার করা হয়ঃ
- কোন ডিভাইসকে বুঝার জন্য যা সাধারণত ইলেকট্রিক্যাল এনার্জি ব্যবহার করে।
- কারেন্ট বা পাওয়ার কে লাইন অথবা মেশিনের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হবার সময় ইলেকট্রিক্যাল লোড থেকে বোঝা যায়।
লোডের প্রকারভেদঃ
রেজিস্টিভ লোড
এই ধরনের লোডগুলো সাধারণত কারেন্ট প্রবাহে বাঁধা প্রদান করে এবং তাপীয় এনার্জিতে রূপান্তরিত করে যেমনঃ সোল্ডারিং আয়রন, হীটার, বাতির ফিলামেন্ট ইত্যাদি।
ইন্ডাক্টিভ লোড
ইন্ডাক্টিভ লোড সাধারণত ম্যাগ্নেটিক ফিল্ড ব্যবহার করে তার কার্য পরিচালনা করে। চােক কয়েল, ফ্যান, মোটর, জেনারেটর, ট্রান্সফরমার ও কমপ্রেসার ইত্যাদি হলো ইন্ডাক্টিভ লোডের উদাহরণ।
ক্যাপাসিটিভ লোড
ক্যাপাসিটিভ লোড এমন একটি লোড যেখানে ভোল্টেজ কারেন্টের চেয়ে ৯০ ডিগ্রী এগিয়ে থাকে। এর উদাহরণ হলো ক্যাপাসিটর বা কন্ডেসার, ক্যাপাসিটর ব্যাংক ইত্যাদি।
এছাড়া অন্যান্য লোডগুলো হচ্ছেঃ
বাসাবাড়ির লোড
আমরা বাসা বাড়িতে যে ধরনের ইলেক্ট্রিক্যাল বা ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী ব্যবহার করি যেমন ফ্যান, বাতি, মোটর এসি ইত্যাদি এগুলোই মূলত বাসা বাড়ির লোড।
বাণিজ্যিক লোড
আমরা সাধারণত অফিস, বিভিন্ন দোকান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি স্থানে যে ধরনের লোড ব্যবহার করি সেগুলো মূলত বাণিজ্যিক লোড।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল লোড
সাধারণত ছোট বড় ইন্ডাস্ট্রিতে যে ধরনের লোড ব্যবহার করা হয় সেগুলো মূলত ইন্ডাস্ট্রিয়াল লোড যেমনঃ ইন্ডাকশন মোটর। ছোট ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে ২৫ কিলোওয়াট পর্যন্ত ডিমান্ড থাকে, মাজারি ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে ২৫ কিলোওয়াট থেকে ১০০ কিলোওয়াট পর্যন্ত এবং বড় ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে ৫০০ কিলোওয়াটের উপরেও ডিমান্ড থাকে।
নগরভিত্তিক / পৌর লোড
শহরে যে পথ লাইট দেখা যায় বা রোডের মাঝে দিয়ে যে লাইট দেখা যায় সেগুলো মূলত নগরভিত্তিক লোড।
সেচ ভিত্তিক লোড
এই ধরনের লোড দ্বারা মোটরকে ড্রাইভ করা হয় এবং মোটরের সাহায্যে পানি তুলা হয় অর্থাৎ এটি পাম্প মোটর এর কাজে ব্যবহার করা হয়। সাধারনত এই ধরনের লোড সাপ্লাই দেয়া হয় শুধু রাতে ১২ ঘন্টা।
ট্রাকশন লোড
এই ধরনের লোড সাধারণত ট্রাম কার, ট্রলি বাস, রেলওয়ে তে ব্যবহার করা হয়। এই ধরনের লোডগুলোর ডিমান্ড অনেক ভ্যারিয়েশন রয়েছে। অফিস টাইমের জন্য সকালের সময় এটা সর্বোচ্চ ডিমান্ডে পৌছায়। এর পর থেকে দুপুরে লোড ডিমান্ড কমতে থাকে এবং বিকাল আসলে আবার বাড়তে শুরু করে। এই ধরনের লোডগুলো আমাদের দেশে এখনো নেই।