ডায়োড সম্বন্ধে সাধারণ কিছু প্রশ্ন ও উত্তর জেনে রাখুন | Diode

3
10360
Diode

Diode সম্বন্ধে আমরা পূর্বে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। নিচের লিংকে ডায়োড কি, ডায়োডের খুঁটিনাটি বিষয়ে পাবেন। ডায়োডের গত পর্বের লেখাটি ছিলো অনেকটা তাত্ত্বিক টাইপের তবে এই লেখাটির আলোচনা হবে অনেকটাই প্র্যাক্টিক্যাল।

ডায়োডের খুঁটিনাটি বিষয়ে পড়ুন

  1. ডায়োডের প্রতীক দ্বারা কি বুঝায়, এনোড ক্যাথোড পরিচিতি?
  2. ডায়োডের নাম্বারিং পরিচিতি।
  3. ডায়োডে কি কি ধরনের সমস্যা হয়?
  4. প্রশ্নঃ ডায়োড সিরিজে সংযোগ করলে ভোল্টেজ ড্রপ হয় কিন্তু কারেন্ট কন্ট্রোল করছে না এর কারন কি?

ডায়োডের প্রতীক দ্বারা কী বুঝায়ঃ

গত পর্বে আলোচনা করেছি যে ডায়োডের দুটি প্রান্ত থাকে বা দুটি লেগ থাকে। এদের নাম এনোড এবং ক্যাথোড। সাধারণ ভাবে এনোড বলতে পজেটিভ প্রান্ত কে বুঝি এবং ক্যাথোড বলতে নেগেটিভ প্রান্ত কে বুঝে থাকি। কিন্তু বিজ্ঞানের ভাষায় এনায়ন মানে হচ্ছে নেগেটিভ (-) চার্জ আর ক্যাটায়ন মানে হচ্ছে (+) পজেটিভ চার্জ।

Diode

তাহলে এর ব্যাখ্যা দেখি চলুনঃ একটি ব্যাটারিকে যদি উদাহরণ হিসেবে দেখি তাহলে আমাদের বুঝতে সুবিধা হবে। আমরা অনেকেই বলে থাকি ব্যাটারির পজেটিভ ও নেগেটিভ প্রান্ত কিন্তু সত্যিকার অর্থে পজেটিভ আর নেগেটিভ বলতে কিছুই নেই। যা আছে তার সবই ইলেকট্রনের খেলা।

ইলেকট্রন এর আধিক্য বা ঘাটতি আর তা থেকেই আকর্ষণ-বিকর্ষণ বা পজেটিভ, নেগেটিভ উৎপত্তি। তাহলে সহজ করেই বলি। ইলেকট্রন বেশি থাকলে (-) নেগেটিভ আর কম থাকলে (+)পজেটিভ উৎপন্ন করে।

বাস্তবে ডায়োডের গায়ে ক্যাথোড প্রান্ত বোঝার জন্য রঙিন, সাদা, বা কালো কালি দিয়ে দাগ দেয়া থাকে তবে ক্ষেত্র বিশেষ ভিন্ন উপায়ে বোঝানো থাকে কোন প্রান্তটি এনোড, কোন প্রান্ত টি ক্যাথোড।

Diode নাম্বারিং পরিচিতি

চিত্রে আমরা দেখতে পাচ্ছি ডায়োডের প্রতীক চিহ্ন। অনেক সময় ডায়োডের এমন নাম্বারিং থাকে 1N5408, 1N4007, 1N4001, 3A3, 6A ইত্যাদি। এই নাম্বার গুলো দ্বারা ডায়োডের ক্ষমতা ও গুণাগুণ প্রকাশ করে।বাস্তবে Diode দেখতে অনেক রকমের হয়ে থাকে। তবে দেখতে যেমনি হোক না কেন, এদের প্রতীক চিহ্ন একই সাধারণ ডায়োডের ক্ষেত্রে।

Diode এ কি কি ধরনের সমস্যা হয়?

Diode বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে এবং একারণে Diode তার একমুখী আচারণ থেকে সরে আসে। যেমনঃ বেশি পুরাতন হলে বা নিম্ম মানের পার্টস ব্যবহার করে থাকলে।

অতিরিক্ত ভোল্টেজ, তাপ, কারেন্ট কিংবা ডায়োডকে তার নির্ধারিত মাত্রার সমান বা পূর্ণ মাত্রায় অথবা পূর্ণ চাপে অনেক দিন ব্যবহার করলে সমস্যা হতে পারে।

এসব ক্ষেত্রে ডায়োডকে খুলে মিটার দিয়ে মাপলে আপাতপক্ষে ভালো মনে হলেও সেটি আসলে ভালো নয়। এক্ষেত্রে ডায়োড পরিবর্তন করাই শ্রেয় এছাড়া অন্যান্য পার্টসের ক্ষেত্রে সমস্যা ঘটতে পারে।

প্রশ্নঃ Diode সিরিজে সংযোগ করলে ভোল্টেজ ড্রপ হয় কিন্ত কারেন্ট কন্ট্রোল করছে না এর কারন কি?

Diode

ডায়োডের নিজস্ব একটা রেজিস্ট্যান্স আছে, এরপরেও Diode কারেন্ট কন্ট্রোল করছে না এই প্রশ্নটি অতি স্বাভাবিক। ডায়োডের গঠন ও নাম্বার অনুযায়ী সিলিকন ডায়োডকে যখন মিটার দিয়ে মাপা হয় তখন মিটারে (০.৫কে থেকে ১.২ কে) দেখায় যা ডায়োডের ডাইনামিক রেজিস্ট্যান্স। কিন্তু কন্ডাক্টিভ অবস্থায় যখন ডায়োডের মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রবাহিত হয় তখন ডায়োডের ফরোয়ার্ড রেজিস্ট্যান্স কমতে থাকে।

Diode

একটি ডায়োডের মধ্যে যত ইলেকট্রন ও হোল বেশি তার চার্জ ক্যারিয়ার সুযোগ ততবেশি এবং ডায়োডের কন্ডাক্টিভিটি তত বৃদ্ধি পাবে এবং ফরোয়ার্ড রেজিস্টিভিটি কমতে থাকবে। এটাই মূলত ডায়োডের ধর্ম। আমরা জানি সিলিকন ডায়োডের ক্ষেত্রে ভোল্টেজ ড্রপ ০.৬-০.৭ ভোল্ট এবং রেজিস্টিভ ড্রপ ০.৩-০.৫ ভোল্ট ধরা হয়ে থাকে।

Diode

একটি ডায়োডের এনোডে যদি ০.৭ ভোল্ট বা ০.৩ থেকে ০.৫ ভোল্ট বা ১ ভোল্ট থেকে ১.২ ভোল্ট অতিক্রম করে তখনি কন্ডাক্টিভিটি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে ও ডায়োডের মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রবাহ হতে শুরু করে এবং ফরোয়ার্ড রেজিস্ট্যান্স কমতে শুরু করে।

কমতে কমতে ০.১ বা তার নিচে ০ ওহমের কাছাকাছি চলে আসে। এটা খুবই নগণ্য যা হিসেবে ধরা হয় না। এই কারণেই মূলত ডায়োডে ভোল্টেজ ড্রপ হয় কিন্তু কারেন্ট কন্ট্রোল করে না।

ডায়োড ও সেমিকন্ডাক্টর ডায়োডের খুঁটিনাটি সহজ ভাষায় আলোচনা পড়ুন

আমরা Diode কি, কিভাবে কাজ করে Diode বায়াসিং ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করেছি। ডায়োড কি ও এই বিষয়ে কোন প্রকার প্রশ্ন থাকলে আমাদের কে কমেন্ট করেন।

3 COMMENTS

  1. Md Shoriful islam himu

    Khub valo laglo

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here