একটা প্রবাদ আছে, “ছেঁড়া কাথায় শুয়ে বিলিয়নার হবার স্বপ্ন দেখা”। আমরা প্রত্যেকই কিন্তু বিলিয়নিয়ার হবার স্বপ্ন দেখি। কিন্তু সবার আশা পূরণ হয়না। আবার কারো কারো আশা পূরণ হয়ে যায়। মনে করুন, আপনি সেই সৌভাগ্যবানদের মধ্যে একজন। রাতারাতি বিলিয়নপতি হয়ে তাক লাগিয়ে দিলেন সবাইকে। কিন্তু টাকার এমাউন্ট এতই বেশি যে কোথায় কিভাবে রাখবেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না। এই বিশাল অংকের টাকাকে সঞ্চিত রাখার ডিজিটাল উপায় হল বিট কয়েন। আজ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে বিট কয়েন নিয়ে বিস্তারিত আলাপ করব।
বিট কয়েন কি?
- বিট কয়েন হল এক প্রকার ডিজিটাল ক্রিপ্টোকারেন্সি যার লেনদেনের সাথে কোন রাষ্ট্রীয় বা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যোগসূত্র নেই।
- একে আপনি ভার্চুয়াল কারেন্সিও বলতে পারেন।
- আমরা নিত্যদিনের প্রয়োজনে যেমন বিকাশ, নগদের মত মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম ব্যবহার করি তেমনি এই বিট কয়েনও এক রকম ভার্চুয়াল লেনদেন।
- যদিও বা বিভিন্ন দেশে এর বৈধতা নেই। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন দেশে মুদ্রাস্ফীতি ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ার কারণে বিট কয়েন বৈধতা পাচ্ছে।
- অনেক দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোও এখন এই বিট কয়েনের মাধ্যমে লেনদেন করছে।
- বাংলাদেশেও বিট কয়েন অতি শীঘ্রই চালু হতে যাচ্ছে।
বিট কয়েনকে ক্রিপ্টোকারেন্সি কেন বলে?
- নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি কোর্স পড়ার সময় ক্রিপ্টোগ্রাফি নামক অধ্যায়টি আমরা সকলেই পড়েছি।
- কোন গ্রাহকের ডাটাকে সুরক্ষিত রাখার জন্য তার মূল ডাটাকে একটি বিশেষ কি-ওয়ার্ডের সাথে এনক্রিপ্ট করে রাখা হয়। এই ধারণাকেই বলে ক্রিপ্টোগ্রাফি।
- একইভাবে বিটকয়েনও কিন্তু একটি বিশেষ ধরনের এনক্রিপ্টেড কোড যা ডিজিটাল সিস্টেমে আপনার অর্থকে রাখবে সুরক্ষিত। এ কারণেই বিট কয়েনকে বলা হয় ক্রিপ্টোকারেন্সি।
এক বিট কয়েন কত বাংলাদেশি টাকার সমান?
- অনেকেই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন এই প্রশ্নটির উত্তর পেতে। তাই আর দেরি না করে বলে দেয়াই যাক। আসলে এই বিটকয়েন এবং বাংলাদেশি টাকার রেইট স্থির না।
- এটি দেশের চলমান মুদ্রাস্ফীতি অনুসারে সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হতে পারে। অনেকটা শেয়ার মার্কেটের মত। তবে বিটকয়েনের সাথে শেয়ার মার্কেটের কোন যোগাযোগ নেই।
- আর বিভিন্ন দেশে এই রেট বিভিন্ন রকম।
- তবে বর্তমানে ১ বিট কয়েন =৩৬,০০,০০০ টাকা (প্রায়)। তার মানে আপনি ৩৬,০০,০০০ টাকার অনেকগুলো মানি ব্যান্ডকে নিমিষেই একটি বিট কয়েনে রুপ দিতে পারছেন।
বিট কয়েন কিভাবে তৈরি করব?
বিকাশ, নগদ, রকেটের যেমন সফটওয়্যার আছে তেমনি বিট কয়েন মাইনিং সফটওয়্যারও আছে। সাধারণত বহুপ্রচলিত সফটওয়্যারগুলো হচ্ছেঃ
- Kryptex Miner
- Cudo Miner
- BeMine
- Ecos
- BFG Miner
- Multi Miner
- Easy Miner
- CG Miner
একটি দেশ কি অজস্র বিট কয়েন ব্যবহার করতে পারবে?
বিট কয়েন হল সোনার খনির মত। এক পর্যায়ে লিমিট ফুরিয়ে যায়। পরে আবার লিমিট কিনতে হয়। সাধারণত ২ কোটি ১০ লক্ষ বিট কয়েন একটি দেশের জন্য লিমিট করা আছে।
আজকের এই ব্যতিক্রম আর্টিকেলটি আপনাদের অবশ্যই ভাল লাগবে বলে আশা করি। আগামীতে আপনাদের এরকম আরো ভাল আর্টিকেল উপহার দিব ইনশাল্লাহ।
আরো কিছু আর্টিকেল
এনক্রিপশন ও ডিক্রিপশন নিয়ে মজার আলোচনা
সিম ছাড়াই যাবে মোবাইল কল | কিন্তু কিভাবে?
চলন্ত অবস্থায় এক টাওয়ার থেকে অন্য টাওয়ারে প্রবেশ করলে মোবাইল কল কেটে যায় না কেন?