জেনারেটর চালু করার পূর্বে বেশ কিছু প্রস্তুতি মূলক সতর্কতা ও নিয়ম কানুন রয়েছে। এই ধরনের নিয়ম কানুন মেনে চললে কর্ম ক্ষেত্রে আমরা বিভিন্ন প্রকার ঝুঁকি এবং দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেতে পারি।
জেনারেটর চালু করার পূর্বে সতর্কতা
- প্রথমে কোন প্রকার পাওয়ার কানেকশন থাকলে তা বিচ্ছিন্ন করে নিন।
- ইঞ্জিনের ভিতরে কিছু থাকলে তা সরিয়ে ফেলতে হবে।
- ইঞ্জিনের বেল্ট যথাযথ ভাবে পরীক্ষা করে নিন। প্রয়োজনে ঠিক মত টাইট দিয়ে নিতে হবে এবং গ্রিজ পয়েন্টে যথাযথ গ্রিজ দিয়ে নিতে হবে।
- ইঞ্জিন রুমে ইঞ্জিন ফিজিক্যালি চেক করে নিন যেমনঃ ওয়েল লিকেজ, ওয়াটার লিকেজ, ফুয়েল লাইন ইত্যাদি চেক করে নিন।
- সার্জ ট্যাংকে প্রয়োজন মোতাবেক পানি আছে কিনা তা নিশ্চিত করুন। প্রয়োজনে পরিষ্কার পানি দিবেন।
- গ্যাসের লাইন বা ডিজেল লাইন অন করতে হবে । গ্যাসের প্রেসার, এয়ার ফিল্টার চেক করতে হবে।
- ইঞ্জিনে পানি ও লুব ওয়েল প্রয়োজন মোতাবেক আছে কিনা তা দেখুন। পানি দেখার ওয়াটার লেভেল ইন্ডিকেটর ও লুব ওয়েল দেখার জন্য ডিপ স্টিক লেভেল দেখা হয়।
- ব্যাটারি ভোল্টেজ ও কানেকশন ঠিক-ঠাক আছে কিনা তা দেখতে হবে।
জেনারেটর চালু করার পদক্ষেপ ও চালু অবস্থায় সতর্কতা
- প্রথমে কন্ট্রোল প্যানেল চেক করে কন্ট্রোল পাওয়ার অন করতে হবে।
- ইঞ্জিন কন্ট্রো সুইচ (ECS) দিয়ে ইঞ্জিন চালু করতে হবে এবং ইহা স্টার্ট (START)/মেইন(MAIN) রাখলে ইঞ্জিন চালু হবে। তবে দেখে নিতে হবে IDLE/RATED সুইচ কোন অবস্থায় আছে। এটা সাধারণত IDLE এ থাকবে।
- যেহেতু IDLE এ আছে 🙂 তাহলে এটা চলবে অল্প সময় (সাধারণত ৩ থেকে ৫ মিনিট)। এর RPM হবে ১০০০ – ১১০০ যদি রেটেড স্পীড ১৫০০ হয়। ইঞ্জিন ও জেনারেটর মিটারিং চেক করতে হবে। যদি সব ঠিক থাকে তাহলে রেটেড স্পীড এ দিতে হবে। এভাবে ২ থেকে ৪ মিনিট চলতে দিতে হবে।
- রেটেড স্পীডে সকল মিটারিং দেখে নিতে হবে। যদি সব ঠিক থাকে তবেঃ-
- ইঞ্জিন লোড দেবার জন্য রেডি থাকতে হবে। এখন বাস ভোল্টেজ ও ফ্রিকুয়েন্সির সাথে জেনারেটরের ভোল্টেজ ও ফ্রিকুয়েন্সি সমান করতে হবে। এটি সাধারণত অটো হয়ে থাকে তবে অটো না হলে ম্যানুয়ালি ঠিক করে নিতে হবে।
- অটো বা ACB close বা Hand ON LOAD বাটনে প্রেস করলে ইঞ্জিন লোড নিবে, এটা সাধারণত টাচ স্ক্রিন বা ম্যানুয়াল সুইচ ও হতে পারে।
- ACB close হবারা সাথে সাথে লোড বাড়াতে হবে এবং লোডের সুইচ অন করতে হবে। প্যারালালে যদি অন্য ইঞ্জিন থাকে তবে তা ভালোভাবে লোড শেয়ার করে দিতে হবে। Drop mode এ থাকলে ম্যানুয়ালি লোড এডজাস্ট করে নিতে হবে। Isochronous Mode এ থাকলে আটো লোড শেয়ার রেটেড লোড সেটিং অনুযায়ী হবে।
- লোড অবস্থায় সকল মিটারিং চেক করে নিতে হবে।
- সকল মিটারিং লগ বইয়ে সংরক্ষণ করে রাখতে হবে এ প্রতি ঘন্টায় তা চেক করে লগ বইয়ে লিখে রাখতে হবে।
জেনারেটর বন্ধ করার নিয়মাবলী
- বন্ধ করার ক্ষেত্রে ইঞ্জিনের লোডকে ধীরে ধীরে কমাতে হবে।
- Stop/cool-down অপশন থাকলে সেখানে প্রেস করে ইঞ্জিনের লোড ধীরে ধীরে কমে গিয়ে ACB Open হয়ে যাবে।
- এরপরেই Rated speed থেকে Idle speed এ আসবে এবং অটো ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু অটো মুড না থাকলে এই বিষয়গুলো ম্যানুয়ালি করে নিতে হবে।
- পাঁচ মিনিট বিনা লোডে ইঞ্জিন চালু রাখতে হবে যাতে ইঞ্জিন ধীরে ধীরে ঠাণ্ডা হতে পারে।
- ইঞ্জিন বন্ধ অবস্থায় কন্ট্রোল প্যানেলের ব্যাটারি চার্জার, ইঞ্জিনের ডিসি পাওয়ার অন রাখা ভাল।
- গ্যাসের বা ফুয়েলের লাইন বন্ধ রাখতে হবে।
পরিশেষে কোন কিছু না বুঝে কন্ট্রোল সিস্টেমে কাজ করতে যাবেন না। পুরোপুরি বুঝে এবং প্র্যাক্টিকাল বিষয় দেখে এরপরেই কাজ শুরু করা ভালো। এছাড়া জেনারেটরে ইলেকট্রিক্যাল লাইনে শর্ট সার্কিট ও ইঞ্জিনে ব্যাক ফায়ার জনিত সমস্যা ঘটতে পারে।
PDF Download Link: generator_maintenance.pdf
Nice comment