এস এম পি এস (SMPS) ইলেকট্রনিক্স জগতে একটি সুপরিচিত শব্দ। আমরা অনেকেই এই ইলেকট্রনিক ডিভাইসের নাম শুনে থাকব। এর সাথে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের ব্যাটারি চার্জিং এর একটি বিশাল সম্পর্ক আছে। তাহলে চলুন এস এম পি এস নিয়ে আলোচনা করা যাক।
এই আর্টিকেলে আমাদের মূল আলোচ্য বিষয়গুলো হলঃ
- এস এম পি এস কি?
- এটি কোথায় ব্যবহৃত হয়?
- এটির মূল ফাংশন কি?
- এস এম পি এস এর প্রকারভেদ
- সার্কিটের গঠন
- এস এম পি এস এর কার্যপ্রণালী
- পাওয়ার সার্কিটে এস এম পি এস ব্যবহারের উপকারিতা এবং অপকারিতা
এস এম পি এস কি?
এস এম পি এস একটি বিশেষ ধরনের ইলেকট্রনিক সার্কিট যা হাই ফ্রিকুয়েন্সি সুইচিং ডিভাইস ব্যবহার করে পাওয়ারকে এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় রুপান্তর করতে সক্ষম। এস এম পি এস এ সুইচিং ডিভাইসের নন-কন্ডাক্টিং স্টেটকে কাজে লাগানো হয়।
এটি কোথায় ব্যবহার করা হয়?
এটি বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস যেমন কম্পিউটার, মোবাইলে ব্যবহৃত হয়। এটি সুইচিং মোড পাওয়ার সাপ্লাই হিসেবেও সুপরিচিত।
এর মূল ফাংশন কি?
বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের পাওয়ার সিস্টেম বিভিন্ন ধরনের। কোনটি এসি আবার কোনটি ডিসি দ্বারা পরিচালিত হয়। পাওয়ার সিস্টেম মোতাবেক পাওয়ার ট্রান্সফরমেশন করে ডিভাইস চার্জিং করাই এস এম পি এস এর মূলত ফাংশন।
এস এম পি এস এর প্রকারভেদ
সুইচ মোড পাওয়ার সাপ্লাই চার ধরনের হয়। সেগুলো হলঃ
- এসি-ডিসি
- ডিসি-এসি
- ডিসি-ডিসি বা চপার টাইপ এস এম পি এস
- এসি টু এসি এস এম পি এস
সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত হল এসি-ডিসি টাইপ এস এম পি এস। নিচে এসি-ডিসি টাইপ এস এম পি এসের সার্কিটের ব্যাসিক গঠন আলোচনা করা হলঃ
সার্কিটের গঠন
- ইনপুট রেক্টিফায়ার এবং ফিল্টার
- সুইচিং ডিভাইস MOSFET
- ট্রান্সফরমার
- আউটপুট রেক্টিফায়ার এবং ফিল্টার সার্কিট
- ফিডব্যাক এবং কন্ট্রোল সার্কিট
এস এম পি এস এর কার্যপ্রণালী
- ইনভার্টার থেকে আগত এসি সুইচিং ডিভাইস মসফেটের মাধ্যমে ট্রান্সফরমারের প্রাইমারি কয়েলে ইনপুট হিসেবে দেয়া হয়।
- এমতবস্থায় মসফেটটি 20-200KHz ফ্রিকুয়েন্সিতে কাজ করে।
- অতঃপর ট্রান্সফরমারের এসি আউটপুটকে রেক্টিফায়ার সার্কিটের মাধ্যমে ডিসিতে পরিণত করে ফিল্টার করে নেয়া হয়।
- ফিল্টার সার্কিট নিয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে আমাদের ব্লগের এসি-ডিসি দুই ভাইয়ের সঞ্চয়ী মনোভাব এবং ফিল্টার সার্কিটের গল্প এই আর্টিকেলটি দেখে নিতে পারেন।
- তারপর এই ডিসি আউটপুট যদি কমবেশি হয় তাহলে তাকে ফিডব্যাক এবং কন্ট্রোল সার্কিটের সাহায্যে এডযাস্ট করে নেয়া হয়।
এ ধরনের এস এম পি এস এর কনফিগারেশন মোড কয়েক ধরনের হতে পারে। যেমনঃ
- হাফ ব্রীজ
- ফুল ব্রীজ
- ফ্লাইব্যাক
- পুশপুল
উপকারিতা
- এটির ইফিসিয়ান্সি ৬৮-৯০% পর্যন্ত হতে পারে।
- আকারে ছোট এবং পাতলা।
- ফ্লেক্সিবল প্রযুক্তি।
- হাই পাওয়ার ডেন্সিটি।
- রেগুলেটেড এবং নির্ভরযোগ্য আউটপুট পাওয়া সম্ভব।
অপকারিতা
- এটি তুলনামূলক দামি।
- এতে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ইন্টারফেরেন্স বেশি।
- সার্কিট গঠন কিছুটা জটিল প্রকৃতির।
ইলেকট্রনিক্স নিয়ে আরো কিছু আর্টিকেল
আলো আপু, এল ডি আর এবং ফটোডায়োডের ত্রিকোণ প্রেম
ডায়োডের প্রেম-কাহিনী | ডায়োড, হোল, ইলেকট্রন গল্পের ছলে আলোচনা