পাওয়ার ফ্যাক্টর আমাদের জন্য নতুন কোন টপিক না। এই টপিক দেখতে দেখতে আমাদের চোখ রীতিমতো ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। তাই আজ একটু ভিন্ন স্টাইলে আজ ব্যাপারটি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে এসেছি। আজকের আর্টিকেলটি পড়ার পর আশা করি আপনাদের আর কোন প্রকার কনফিউশন কাজ করবে না ইনশাল্লাহ। প্রথমে পাওয়ার ফ্যাক্টরের সংজ্ঞাটি আপনাদের কাছে তুলে ধরতে চাই। চলুন শুরু করা যাক।
পাওয়ার ফ্যাক্টর
পাওয়ার ফ্যাক্টরের দুই রকম ডেফিনেশন আছে। একটি হল ত্রিকোণোমিতিক আর একটি আনুপাতিক। ত্রিকোণোমিতিকভাবে বলতে চাইলে, ফ্যাক্টর হল ভোল্টেজ এবং কারেন্টের মধ্যবর্তী ফেজ এঙ্গেলের কোসাইন মান।
Power Factor = Cos(θv – θi)
পাওয়ার ফ্যাক্টরের আরো একটি সংজ্ঞা আছে যেখানে এপারেন্ট পাওয়ার এবং রিয়েল পাওয়ারের আনুপাতিক সম্পর্ককে তুলে ধরা হয়। আর আমরা জানি, এই অনুপাত একের বেশি হতে পারবেনা। এখন আমরা এই পাওয়ার ফ্যাক্টর কেন একের বেশি হতে পারবেনা সে আলোচনা একটি মজার উদাহরণের মাধ্যমে জানব। অনেক ব্লগসাইটে কোকাকোলা বা বিয়ারের উদাহরণের মাধ্যমে ব্যাপারটি বুঝানো হয়ে থাকে। তাই ব্যাপারটি একঘেয়ে হয়ে গেছে। তাই আমি আজ একটু ভিন্ন উদাহরণের মাধ্যমে বিষয়টি উপস্থাপনের চেষ্টা করব।
পাওয়ার ফ্যাক্টর এবং ঘোড়ার দৌড় প্রতিযোগিতা
- মনে করুন, খোলা সমুদ্র সৈকতে একটি ঘোড়ার দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হল। অনেক প্রতিযোগী তাদের ঘোড়া নিয়ে উপস্থিত হল।
- আপনিও আপনার পালিত ঘোড়াটি নিয়ে উপস্থিত হলেন। এখন আপনার ঘোড়ার এনার্জির নিশ্চয় একটা রেঞ্জ আছে।
- হয় সে তার সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে দৌড়াবে অথবা তার কম শক্তি দিয়ে দৌড়াবে। সে নিশ্চয়ই তার সর্বোচ্চ সীমার বাইরে এনার্জি দিয়ে দৌড়াতে পারবেনা।
- একইভাবে পাওয়ার সিস্টেমে রিয়েল পাওয়ার কখনোই এপারেন্ট পাওয়ারের বেশি হতে পারবেনা। এপারেন্ট পাওয়ারের সমান হবে না হয় তার কম হবে।
- এবার যদি আমরা তাদের আনুপাতিক সম্পর্ক দেখি,
- পাওয়ার ফ্যাক্টর (P.F) = রিয়েল পাওয়ার (P) / এপারেন্ট পাওয়ার (S)
- উপরের সম্পর্ক দেখে প্রতীয়মান হচ্ছে যে, যদি রিয়েল পাওয়ার, এপারেন্ট পাওয়ারের সমান বা ছোট হয় তাহলে তাদের অনুপাত তথা পাওয়ার ফ্যাক্টর ১ এর বেশি হবেনা।
- পাওয়ার ফ্যাক্টর ১ হবে যদি এপারেন্ট পাওয়ার = রিয়েল পাওয়ার হয়।
- পাওয়ার ফ্যাক্টর ১ এর কম হবে যদি এপারেন্ট পাওয়ার > রিয়েল পাওয়ার হয়।
ইঞ্জিনিয়ারিং টপিকগুলোর একটি বিশেষত্ব হল এগুলোকে বাস্তব জীবনের বিভিন্ন ঘটনার সাথে সামঞ্জস্য করে বোঝানো যায়। আর এভাবে বুঝাতে পারাটাও এক প্রকার শৈল্পিক গুণ। যা ভোল্টেজ ল্যাব আপনাদের বিভিন্ন সময় উপহার দিয়ে আসছে এবং আসবেও ইনশাল্লাহ। তাই বরাবরের মতই বলতে চাই পাশে থাকুন, পাশে আছি পাঠকদের ভালবাসি।
আরো কিছু আর্টিকেল পড়ুন
PFI – Power Factor Improvement | পাওয়ার ফ্যাক্টর ইমপ্রুভমেন্ট ও ক্যালকুলেশন