মানবমস্তিকেও প্লান্ট করা যাবে মেমোরি চিপ। কিন্তু কিভাবে?

মেমোরি চিপ কি?

কেমন হবে যদি আপনার ব্যক্তিগত সব তথ্য ছোট্ট একটি পরিসরে আবদ্ধ রাখা যায়? জি, হ্যা মেমোরি চিপ বা মেমোরি কার্ডই হল সে পরিসর। মেমোরি কার্ড বা মেমোরি কার্টিজ হলো একটি ইলেকট্রনিক তথ্যভাণ্ডার ডিভাইস যা ডিজিটাল তথ্য সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারণত পোর্টেবল ইলেকট্রনিক ডিভাইস যেমন ডিজিটাল ক্যামেরা, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, ট্যাবলেট, পিডিএফ, পোর্টেবল মিডিয়া প্লেয়ার, ভিডিও গেম কনসোল, সিন্থেসাইজার, ইলেকট্রনিক কীবোর্ড এবং ডিজিটাল পিয়ানোতে ব্যবহৃত হয়। মেমোরি কার্ড হলো সংরক্ষিত ন্যানোটেকনোলজি। অতঃপর ডাটা সংরক্ষণের নতুন সংযোজন যা কম্পিউটার থেকে ছোটবড় যেকোনো ডিভাইসের ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

কম্পিউটারে ব্যবহৃত মেমোরি বা মেমোরির কার্যপ্রণালীর মূলনীতি, ভৌতিক বৈশিষ্ট্য ও মাইক্রো প্রসেসরের সাথে সংযোগ, ব্যবহৃত মাধ্যম এবং নির্মাণ কৌশলের উপর ভিত্তি করে কম্পিউটারের মেমোরিকে বিভিন্ন শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। কম্পিউটারের মেমোরিকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়।

কম্পিউটার মেমোরির প্রকারভেদ

কম্পিউটারের মেমোরি প্রধানত ২ প্রাকার। যথা-

  • প্রধান মেমোরি (Main Memory)
  • সহায়ক মেমোরি (Auxiliary Memory)

প্রধান মেমোরি (Main Memory):

কম্পিউটারের প্রধান মেমোরিকে হার্ডডিস্ক বা রোম বলে যা কার্যের উপর ভিত্তি করে কাজ করে। এই মেমোরিতে তথ্য-উপাত্ত সংরক্ষণ করা যায় এবং পাঠও করা যায়। বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধ হলে এই মেমোরি হতে তথ্য-উপাত্ত মুছে যায়। এই ধরনের মেমোরিকে Random Access Memory বা র‍্যাম বলা হয়। কম্পিউটারের আরেকটি মেমোরি আছে তার নাম Read Only Memory বা রম। এই মেমোরি হতে শুধু মাত্র তথ্য-উপাত্ত পড়া যায় কিন্তু কিছু লিখা যায় না। বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধ হলেও এ মেমোরি হতে তথ্য- উপাত্ত মুছে যায় না।

প্রধান মেমোরি কাকে বলে?

প্রধান মেমোরি হলো যে মেমোরির সাথে সিপিইউ এর গাণিতিক ও যুক্তি অংশের প্রত্যক্ষ সংযোগ থাকে তাকেই প্রধান মেমোরি বলা হয়। প্রধান মেমোরিতে সে সব তথ্য-উপাত্ত থাকে, যা সবসময় প্রয়োজন হয়। এটি হলো লিখন পাঠন মেমোরি। প্রক্রিয়া করণের জন্য প্রোগ্রাম ও ডাটা স্মৃতিতে সংরক্ষণ করা হয়। এই ধরণের মেমোরির কার্যবলী অত্যন্ত দ্রুতগতির হয়। এই  মেমোরির সঞ্চয় ক্ষমতা কম থাকে। প্রধান মেমোরিকে আবার অভ্যান্তরীণ মেমোরি ও বলা হয়।

প্রধান মেমোরি বৈশিষ্ট্য

কম্পিউটারের প্রধান মেমোরির বৈশিষ্ট হলো চলমান প্রোগ্রাম, তথ্য-উপাত্ত, হিসাব নিকাশ ইত্যাদির ফলাফল অস্থায়ী ভাবে সংরক্ষণ করে। প্রসেসরের খুব কাছে থাকায় এবং সর্ম্পূণ ইলেকট্রনিক্স পদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় প্রধান মেমোরিতে তথ্য-উপাত্ত সংরক্ষণ ও তা পঠানের গতি দ্রুত হয়। 

কম্পিউটারের প্রধান মেমোরিকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায় যথা-

  • RAM (Random Access Memory)
  • ROM (Read Only Memory)

নিউরাল চিপ ইমপ্ল্যান্ট

ব্রেন ইমপ্লান্ট হল প্রযুক্তিগত যন্ত্র যা সরাসরি জৈবিক বিষয় বা মস্তিষ্কের সাথে সংযোগ স্থাপন করে। যাকে প্রায়ই নিউরাল ইমপ্লান্টও বলা হয়। এটি সাধারণত মস্তিষ্কের পৃষ্ঠে স্থাপন করা হয় বা মস্তিষ্কের কর্টেক্সের সাথে সংযুক্ত থাকে। আধুনিক ব্রেন ইমপ্লান্টের একটি সাধারণ উদ্দেশ্য এবং বর্তমান গবেষণার কেন্দ্রবিন্দু হল মস্তিস্কের সেই জায়গাগুলিকে ঠেকানো যা স্ট্রোক বা মাথার অন্যান্য আঘাতের পরে অকার্যকর হয়ে পড়েছে। অন্যান্য মস্তিষ্ক ইমপ্লান্টগুলি শুধুমাত্র বৈজ্ঞানিক কারণে মস্তিষ্কের কার্যকলাপ রেকর্ড করার জন্য প্রাণী পরীক্ষায় ব্যবহার করা হয়। কিছু ব্রেন ইমপ্লান্ট স্নায়ুতন্ত্র এবং কম্পিউটার চিপগুলির মধ্যে ইন্টারফেস তৈরি করে। এই কাজটি মস্তিষ্ক-কম্পিউটার ইন্টারফেস নামে একটি বিরাট গবেষণা ক্ষেত্রের অংশ। (মস্তিষ্ক-কম্পিউটার ইন্টারফেস গবেষণায় ইইজি অ্যারেগুলোর মতো প্রযুক্তিও রয়েছে যা মন এবং মেশিনের মধ্যে ইন্টারফেসের অনুমতি দেয়। খুব মজার না ব্যাপারটা? মানবমস্তিষ্কে মেমোরি চিপ!

নিউরাল চিপ ইমপ্ল্যান্টের মূল উদ্দেশ্য

  • ব্রেইন ইমপ্লান্টগুলো মস্তিষ্কের একক নিউরন বা নিউরনের গ্রুপ (জৈবিক নিউরাল নেটওয়ার্ক) থেকে বৈদ্যুতিকভাবে উদ্দীপিত সংকেত।
  • এই কৌশলটিকে বলা হয় ইন্ট্রা-অ্যাবডোমিনাল ভ্যাগাল ব্লকিং।
  • এটি শুধুমাত্র তখনই করা যেতে পারে যেখানে এই নিউরনগুলোর কার্যকরী সেলগুলো এক্টিভ থাকে।
  • নিউরাল প্রক্রিয়াকরণের জটিলতা এবং নিউরোইমেজিং কৌশল ব্যবহার করে অ্যাকশন পটেনশিয়াল সম্পর্কিত সংকেতগুলো নেয়া হয়।
  • গবেষকরা মস্তিষ্কের অস্ত্রোপচার ছাড়াই এই ইমপ্লান্টগুলো সরবরাহ করার জন্য গবেষণা করছেন।

আরো কিছু আর্টিকেল

মেমোরি সাইজ সর্বদাই 2GB, 4GB, 8GB, 64GB হওয়ার কারণ কি?

HDD এবং SSD এর মধ্যে পার্থক্য কি?

ক্যাপচা (CAPTCHA) টেস্ট কি? এটি কেন করা হয়?