দুবাইয়ে ড্রোন দিয়ে কৃত্রিম বৃষ্টির সৃষ্টি | কিন্তু কিভাবে?

বৃষ্টি শব্দটি শুনলেই মন যেন মহাআনন্দে নেচে উঠে। কিন্তু এখনকার দিনে বর্ষাকালেও যেন বৃষ্টি নামতে চায়না। কারণ, পরিবেশের জলবায়ুর উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। শহারায়ন, শিল্পায়ন, বনায়নের অভাবের কারণে এখন বর্ষাকালেও বৃষ্টি হয়না বললেই চলে।

সেদিক থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর ত আরো বেহাল দশা। তন্মধ্যে এবার দুবাইতে গরমের তাপদাহ ছিল সহ্যসীমার বাইরে। এবার দুবাইতে পরিবেশের তাপমাত্রা ছিল ৪৬ ডিগ্রীর উপরে।

সূর্যের অগ্নিতাপে জনজীবন যেন অতিষ্ঠ!! তাই দুবাইয়ের বিজ্ঞানীরা নিয়েছে এক অভিনব প্রকল্প। গরমের অতিরিক্ত প্রভাব অবদমন করতে তারা কৃত্রিমভাবে বৃষ্টি তৈরি করেছে। শুনেই নিশ্চয়ই অনেকেই অবাক এবং কৌতূহলী হয়ে পড়েছেন?

এ ব্যাপারটা নিয়ে আমি ছাত্রাবস্থায় ভাবতাম যে, কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটানো যায় কিনা? অবশেষে আমার চিন্তার বাস্তবায়িত হল দুবাইতে। এখন আলোচনা করব কিভাবে তারা এই কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটাল?

কিভাবে দুবাইতে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত তৈরি করা হল?

এই কাজে তারা তৈরি করেছে একটি স্পেশাল ড্রোন যা হাইভোল্টের ইলেকট্রিক্যাল পালস জেনারেট করতে সক্ষম। এই ড্রোনটি মেঘমন্ডলে পরিভ্রমণ করা মেঘের উপর বৈদ্যুতিক পালস জেনারেট করে। অতঃপর মেঘে অবস্থিত আয়নগুলোর পুর্নবিন্যাসের মাধ্যমে বজ্রপাত তথা বৃষ্টির আবির্ভাব হয়ে থাকে।

এই প্রক্রিয়াটা সমগ্র পৃথিবীতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। দুবাইয়ের বিজ্ঞানীদের মতে এই প্রযুক্তি শুধু দুবাই নয়, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ যেখানে অল্প পরিমাণে বৃষ্টিপাত হয় সেখানে ব্যবহার করা যাবে। যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং গবেষকরাও এই প্রযুক্তিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তবে জনজীবনে এই প্রযুক্তির ব্যাপক প্রভাব রয়েছে।

ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তির প্রভাব

  • বর্তমানে পৃথিবীর একটি অন্যতম সমস্যা হল বৈশ্বিক উষ্ণায়ন । এই কৃত্রিম বৃষ্টিপাতের প্রযুক্তি সমগ্র বিশ্বে প্রয়োগ করা হলে তা বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে বিজ্ঞানীরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
  • সেই সাথে আসবে জনজীবনে স্বস্তির নিঃশ্বাস। খরা বা অনাবৃষ্টি দেখা দিলে এই প্রযুক্তি জনজীবনের শান্তির বাহক হয়ে আসবে।
  • অনাবৃষ্টির ফলে কৃষিতে ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে। এই প্রযুক্তির উদ্ভব হলে এই সমস্যাও দূরীভূত হবে।

সম্প্রীতি দুবাইতে ঘটে যাওয়া এই ঘটনাটি বিভিন্ন নিউজ মিডিয়া, ব্লগে প্রকাশিত হয়েছে। পাঠক এবং দর্শক সবাই রীতিমত অবাকবনে গিয়েছেন। আশা করি এই অভিনব প্রযুক্তি আমাদের দেশেও ব্যবহার হবে।

আজকের এই আর্টিকেলটি কেমন লাগল তা কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়ে দিন। তাহলে ভবিষ্যতে এরকম আরো সমসাময়িক এবং মজাদার আর্টিকেল নিয়ে লিখার অনুপ্রেরণা পাব।

আরো কিছু আর্টিকেল

কোন এলাকার বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কিভাবে পরিমাপ করা হয়?

বর্ষাকালে বেশি ব্রাউনআউট হয় কেন? গ্রামাঞ্চলে এটি বেশি দেখা যায় কেন?

সমুদ্রের গভীরতা মাপার যন্ত্রের নাম কী? | এই যন্ত্র কীভাবে কাজ করে?