ইন্ডাকশন মোটর ট্রান্সফর্মারের কার্যপদ্ধতির উপর ভিত্তি করে কাজ করে। তাই একে ঘূর্ণায়মান ট্রান্সফর্মার ও বলা হয়। আমরা যখন ইন্ডাকশন মোটরের স্ট্যাটরে তড়িচ্চালক শক্তি প্রদান করি, তাড়িতচৌম্বক আবেশের ফলাফল স্বরূপ রোটরে একটি ভোল্টেজ আবেশিত হয়। ইন্ডাকশন মোটরে স্ট্যাটর হচ্ছে ট্রান্সফর্মারের প্রাইমারী সাইড আর রোটর হচ্ছে ট্রান্সফর্মারের সেকেন্ডারী সাইড। তাই ইন্ডাকশন মোটরের ইকুইভ্যালেন্ট সার্কিট অনেকটা ট্রান্সফর্মারের মত।
ইন্ডাকশন মোটর সর্বদা Synchronous স্পিডের চাইতে কম স্পিডে চলে। আর Synchronous স্পিড এবং রোটোরের স্পিডের আপেক্ষিক পার্থক্যকে ইন্ডাকশন মোটরের স্লিপ বলা হয়। একে S দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
এখানে NS ইন্ডাকশন মোটরের Synchronous স্পিড।
P = ইন্ডাকশন মোটরের পোল সংখ্যা।
f = সাপ্লাই ভোল্টেজের ফ্রিকোয়েন্সি
ইকুইভ্যালেন্ট সার্কিট কি
যে সার্কিটের সাহায্যে মেশিনের সকল প্যারামিটার এবং লস গুলো ফুটিয়ে তোলা যায় তাকে ইকুইভ্যালেন্ট সার্কিট বলে। মেশিনের লস গুলো সাধারণত ইন্ডাক্টর অথবা রেজিসস্টরের সাহায্যে প্রকাশ করা হয়। ইন্ডাকশন মোটরের লস সম্পর্কে জানতে এই আর্টিকেলটি পড়ে আসতে পারেন।
ইন্ডাকশন মোটরের ইকুইভ্যালেন্ট সার্কিট
ইকুইভ্যালেন্ট সার্কিট দ্বারা মোটরের সকল অংশ এবং তাদের পাওয়ার লস গুলো চিত্রায়িত করা হয়। নিম্নে ইন্ডাকশন মোটরের একটি ইকুইভ্যালেন্ট সার্কিট দেওয়া হল ( ১ টি ফেজ বিবেচনা করে)।
এখানে,
R1 = স্ট্যাটর তার কুন্ডলীর রেজিস্টেন্স
X1 = স্ট্যাটর তার কুন্ডলীর Inductance.
RC = কোর লস।
XM = কয়েলের Magnetizing Reactance.
R2/S = রোটরের পাওয়ার। এর মধ্যেই আউটপুট পাওয়ার এবং মোটরের কপার লস সংযুক্ত থাকে।
আমরা যদি স্ট্যাটরকে নির্দেশ করে ইকুইভ্যালেন্ট সার্কিটটি আঁকি তাহলে সেটা হবে নিম্নরূপঃ
এখানে,
R2’ = স্ট্যাটরকে নির্দেশ করে রোটর তার কুন্ডলীর রেজিস্টেন্স।
X2’ = স্ট্যাটরকে নির্দেশ করে রোটর তার কুন্ডলীর Inductance.
R2(1 – S) /S = আউটপুট পাওয়ার। এই রেজিস্টরের দ্বারা মোটরের যে পাওয়ার মেকানিক্যাল পাওয়ারে পরিণত হয় তাকে নির্দেশ করা হয়।
ইন্ডাকশন মোটর সম্পর্কে অন্যান্য লেখা সমূহঃ
ইন্ডাকশন মোটরঃ প্রকারভেদ এবং গঠন
থ্রী ফেইজ ইন্ডাকশন মোটরের কার্যপদ্ধতি
ইন্ডাকশন মোটরের ইকুইভ্যালেন্ট সার্কিট