চাকরি থেকে অব্যহতি দেয়ার দরখাস্ত। কেমন হওয়া উচিত?

সাধারণত অনেকেই চাকরি থেকে অব্যহতি এর দরখাস্ত কিভাবে লিখবে এই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নয়। অনেকেরই বিভিন্ন কারণে  চাকরি ছেড়ে দিতে হয় । কিন্তু সে ক্ষেত্রে তারা বিপাকে পড়ে যান। তাই আজ আমি আপনাদের জানাবো কিভাবে সহজ ভাবে চাকরি থেকে অব্যহতি এর দরখাস্ত লিখতে হয়। অনেকের সরকারি চাকরির কারণে ইস্তফা প্রদান কিংবা বিভিন্ন রকম সমস্যার কারনে চাকরি ছাড়তে হয়, তাই তখন যে দরখাস্ত লেখার প্রয়োজন পড়ে সেটাই চাকরি ছাড়ার দরখাস্ত। সুতরাং নিচে এর বিস্তারিত ব্যাখা দেওয়া হলোঃ

দরখাস্ত লেখার নিয়মাবলি :

তারিখঃ

  • প্রথমত, চাকরি হতে অব্যাহতি পত্র লিখার সময় কোন তারিখ হতে উহা কার্যকর করতে চান তা আবেদনের গর্ভাংশে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।
  • এক্ষেত্রে কমপক্ষে মালিকপক্ষকে নূন্যতম একমাসের সময় দেয়া যেতে পারে যাতে করে মালিকপক্ষ আপনার স্থলে অন্য লোক পদায়নের সুযোগ পায়।
  • তবে এক সপ্তাহ বা তার কম সময়ের মধ্যে কোন সরকারি চাকরিতে যোগদানের বাধ্যবাধকতা থাকলে তা মালিক পক্ষের সাথে আলোচনাক্রমে সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে ও অব্যহতির জন্য আবেদন করা যায়।
  • চাকরি ছাড়ার দরখাস্ত লেখার ক্ষেত্রে যে বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে তা হলো উন্নতমানের কাগজ।

ঠিকানাঃ

  • পরবর্তী ধাপে আসে, বরাবর লিখে ঠিকানা লেখার বিষয়টি।
  • দরখাস্ত লেখার ক্ষেত্রে একটা নির্দিষ্ট ধারা বজায় রেখে ডান দিক এ লেখা শুরু করতে হয়।
  • তাই ঠিকানা সঠিকভাবে না লিখলে এক ধরণের বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির তৈরি হয়।

বাচনভঙ্গিঃ

বাচনভঙ্গি সহজ ও প্রাঞ্জল হতে হবে। এমন কোনো শব্দ ব্যবহার করা যাবে না যা দেখতে দৃষ্টিকটু দেখায়। এতে এক ধরণের বিরুপ প্রতিক্রিয়া পড়তে পারে।

সম্বোধনঃ

সম্বোধন সুস্পষ্ট হওয়া দরকার।

লেখার ধরণঃ

  • সংক্ষেপে এবং গুছিয়ে পুরো দরখাস্তটি সম্পন্ন করুন। এতে দরখাস্তটি আকর্ষণীয় হবে এবং পড়ার পর এক ধরণের ইতিবাচক ধারণার সৃষ্টি হতে হবে।
  • অহেতুক এক ধরণের বাক্য বারবার লেখা থেকে বিরত থাকুন।
  • শুরুর দিকের বাক্যটা আকর্ষণীয় রাখার চেষ্টা করতে হবে তাতে যে পড়ছে তার যেন এক ধরণের আগ্রহ তৈরি হয় পুরো দরখাস্ত টি পড়ার।
  • সুস্পষ্ট কারণ সঠিকভাবে ব্যাখা করুন। কারণ ঠিকমত কারণ দর্শাতে না পারলে দরখাস্তটির মান বজায় থাকবে না।
চাকরি থেকে অব্যহতি এর দরখাস্তে লেখার ধরন
লেখার ধরন

৬. সমাপ্তিঃ

  • সমাপ্তি টাও শুরুর মতো গুছিয়ে করুন।
  • বারবার চেক করে নিন যাতে কোনো ভুল-ত্রুটি না থেকে যায়। 

নিম্নে একটি নমুনা দরখাস্ত কেমন হতে পারে তা তুলে ধরা হলো :

তারিখ,

বরাবর, পরিচালক, কোম্পানির নাম, ঠিকানা।

বিষয়ঃ চাকুরী থেকে অব্যাহতির জন্য আবেদন।

জনাব,

আমি আপনার প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ ৫ বছর যাবত অপারেটর পদে চাকুরীরত ছিলাম। এখন আমার (সমস্যার নাম) সমস্যার কারনে আমি আপনার প্রতিষ্ঠানে আর থাকতে পারছি না। জনাবের নিকট আমার আকুল আবেদন,  আমাকে আপনার প্রতিষ্ঠান থেকে অব্যাহতি দানে মর্জি থাকবেন।

নিবেদক,

আপনার নাম

আপনার পদ কোম্পানি ID (যদি থাকে)

তারিখঃ যে তারিখে দরখাস্তটি লিখবেন।

আরো আর্টিকেল পড়ুন :

সরকারি চাকরি পেতে যে ৬ টি টিপস সহায়ক হতে পারে

যেসব ভুলের কারণে অভিজ্ঞ হওয়া সত্বেও আপনি নতুন চাকরি পাচ্ছেন না