আজ থেকে প্রায় ২০০ বছর আগে ১৮৩১ সালে বিদ্যুত আবিষ্কার হয়। মাইকেল ফ্যারাডে নামের একজন বিজ্ঞানী এই বিদ্যুত আবিষ্কার করেন। তার বাড়ি হলো ইংল্যান্ড। এই বিদ্যুত আবিষ্কারের পর সবকিছু দ্রুত বদলে যেতে শুরু করে। রাতের আঁধার হয়ে যায় দিনের মত ঝলমলে।
House Wiring Bangla – 2 | হাউজ ওয়্যারিং শুরুর আগে যা জেনে রাখা জরুরী পড়ুন
উৎপাদন ব্যবস্থায় আসে বিরাট পরিবর্তন। কলকারখানা সব হয়ে যায় বিদ্যুৎ নির্ভর। মানুষের কষ্ট কমতে থাকে। অন্যদিকে ভােগ বাড়তে থাকে। সুইচ টিপলেই বাতি জ্বলে, ফ্যান চলে, ফ্রিজ চলে। সুইচ টিপে বিদ্যুত বাতি জ্বালানাে যেমন সহজ কাজ; ঘরে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা কিন্তু এত সহজ নয়।
যে কেউ সুইচ টিপে আলাে জ্বালাতে পারেন। কিন্তু ঘরে বিদ্যুৎ আনা বা এর ব্যবস্থা করা সবাই পারেন না। এর জন্য দরকার একজন ইলেকট্রিক টেকনিশিয়ানের। কোন ঘরের কোথায় ফ্যান চলবে, কোথায় বাল্ব জ্বলবে তা আগে ঠিক করে নিতে হয়। তারপর সে অনুযায়ী বিদ্যুতের তার টেনে নিতে হয়।
বিদ্যুত থাকা অবস্থায় বিদ্যুতের তার ধরা বিপদজনক। তাই কাজটি খুব সাবধানে করতে হয়। একজন মিস্ত্রি বিদ্যুতের তারকে জায়গামত বণ্টন করেন। এই কাজকে আমরা বলি হাউস ওয়্যারিং।
এটি ইংরেজি শব্দ। হাউস মানে-ঘর। আর ওয়্যার মানে- তার। ওয়্যারিং হল তার লাগানাে। এক কথায় ঘরে বিদ্যুতের তার লাগানাে। আমাদের দেশে অনেকেই হাউস ওয়্যারিং-এর কাজ করেন। এই কাজ করে তারা আয় করেন।
হাউস ওয়্যারিং-এর কাজে পুঁজি কম লাগে। কাজটি সহজে শিখে নেওয়া যায়। তাছাড়া কাজের জন্য কোনাে জায়গা ও বাড়তি লােকের দরকার হয় না। এজন্য এ কাজে লাভ বেশি করা যায়। আসুন আমরা এখন এ সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেই। যেমন- হাউস ওয়্যারিং করতে কী কী যন্ত্রপাতি লাগে, কীভাবে হাউস ওয়্যারিং করতে হয় ইত্যাদি।
হাউজ ওয়ারিং এ যা যা লাগবেঃ
হাউজ ওয়ারিং করতে দুই ধরনের জিনিসপত্র লাগবেঃ
১। স্থায়ী জিনিসপত্র
২। নিয়মিত লাগে এমন জিনিসপত্র
স্থায়ী জিনিসপত্র
নিয়মিত লাগে এমন জিনিসপত্র
অন্যান্য দরকারি জিনিসপত্র
হাউজ ওয়ারিং করার ক্ষেত্রে অন্যান্য জিনিস লাগে যা ছাড়া কাজ করা যায় না। যার বাড়ির কাজ তাকে এই জিনিসগুলো সংগ্রহ করে রাখতে হয়।
House Wiring Bangla – 2 | হাউজ ওয়্যারিং শুরুর আগে যা জেনে রাখা জরুরী পড়ুন
courtesy: ঢাকা আহছানিয়া মিশন