নিয়মমত তারের সুন্দর বিতরণ ব্যবস্থাকে হাউজ ওয়ারিং বলে। হাউজ ওয়ারিং প্রধানত দুই প্রকার।
যেমনঃ ১। অভ্যন্তরীণ বা ভিতরের ওয়্যারিং ২। বাহ্যিক বা বাইরের ওয়্যারিং
House Wiring Bangla – 1 । হাউজ ওয়ারিং কি ও বিভিন্ন টুলস সম্পর্কে আলোচনা পড়ুন
House Wiring Bangla – 2 | হাউজ ওয়্যারিং শুরুর আগে যা জেনে রাখা জরুরী পড়ুন
অভ্যন্তরীণ বা ভিতরের ওয়্যারিংঃ
ঘরের ভিতরে যে ওয়্যারিং করা হয় তাকে অভ্যন্তরীণ ওয়্যারিং বলে। এই ওয়্যারিং প্রধানত দুই ধরনের।
- কনসিলড ওয়্যারিং
- ওপেন ওয়্যারিং।
কনসিলড ওয়্যারিংঃ
দেয়ালের ভিতরে যে ওয়্যারিং করা হয় তাকে কনসিলড ওয়্যারিং বলে। এই ওয়্যারিং পাইপের ভিতর দিয়ে করা হয়। ঘর তৈরির সময় এই ব্যবস্থা করে নিতে হয়।
ওপেন বা সারফেস ওয়্যারিং
ঘরের দেয়ালের উপরে চ্যানেল বা পাইপের সাহায্যে ওয়্যারিং করা হয় তাকে ওপেন বা সারফেস ওয়্যারি বলে।
বাহ্যিক বা বাইরের ওয়্যারিং
ঘরের বাইরে যে ওয়্যারিং করা হয় তাকে বাহ্যিক বা বাইরের ওয়্যারিং বলে। বিদ্যুতের মূল খুঁটি থেকে বাড়ির মিটার পর্যন্ত বিদ্যুত নেওয়ার জন্য এই ওয়্যারিং করা হয়।
হাউস ওয়্যারিং করার ধাপসমূহ
বাসা বাড়ির ওয়্যারিং মূলত চারটি ধাপে করা হয়ঃ
- মিটারের পয়েন্ট থেকে লাইন টেনে মেইন সুইচে নিয়ে আসা।
- মেইন সুইচ থেকে লাইন টেনে জয়েন্ট বক্সে নিয়ে আসা।
- জয়েন্ট বক্স থেকে লাইন টেনে ঘরের সুইচ বাের্ডে নিয়ে আসা।
- সুইচ বাের্ড ও জয়েন্ট বক্স থেকে লাইন টেনে বিভিন্ন পয়েন্টে নিয়ে যাওয়া। ঘরের যেসব জায়গায় সকেট, বালু, টিউব লাইট, ফ্যান ইত্যাদি থাকে সেসব জায়গাকে পয়েন্ট বলে।
বাড়ি ওয়্যারিং হয়ে গেলেই কী বিদ্যুত চলে আসবে? অবশ্যই না। এজন্য মেইন লাইন থেকে বিদ্যুতের তার বাড়ির মিটারে আনতে হবে। এই কাজটি বিদ্যুত অফিসের লােকজন করেন।
হাউজ ওয়ারিং -এর কাজ শেষ হলে তারা মেইন লাইন থেকে তার টেনে মিটারে সংযােগ দিয়ে যান। এরপর সুইচ অন করলে ঘরে লাইট জ্বলে ওঠে। ফ্যান ঘুরতে শুরু করে। বাড়ির মালিকের চাহিদা ও পছন্দ মত ওয়্যারিং মিস্ত্রির কাজ করতে হয়। বাড়ির মালিক হাউজ ওয়ারিং -এর সমস্ত জিনিসপত্র সরবরাহ করেন। যেমন- মেইন সুইচ, তার, সুইচ বাের্ড, সুইচ, সকেট, চ্যানেল ইত্যাদি। একজন ওয়্যারিং মিস্ত্রী এসব জিনিস ব্যবহার করে ঘর ওয়্যারিং করে দেন।
House Wiring Bangla – 1 । হাউজ ওয়ারিং কি ও বিভিন্ন টুলস সম্পর্কে আলোচনা পড়ুন
House Wiring Bangla – 2 | হাউজ ওয়্যারিং শুরুর আগে যা জেনে রাখা জরুরী পড়ুন
courtesy: ঢাকা আহছানিয়া মিশন