সেন্সর ও ট্রান্সডিউসার কি এবং এদের পার্থক্য গুলো জেনে নিন

এই লেখাটিতে সেন্সর ট্রান্সডিউসার সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। ইলেক্ট্রনিক ইন্সট্রুমেন্টেশন সিস্টেম মূলত কতগুলো পরিমাপক, কন্ট্রোল ও রেকর্ডিং ডিভাইসের সমন্বয়ে গঠিত। এসব ডিভাইস ইলেক্ট্রিক্যাল সিগন্যালের মাধ্যমে কাজ করে থাকে।

বিভিন্ন সেন্সর সম্বন্ধে বিস্তারিত পড়ুন

কিন্তু অনেক সময় নন ইলেক্ট্রিক্যাল পরিমাপ ও রেকর্ডিং করা দরকার হয়। যেমন- তাপমাত্রা, বল, সরন, ইত্যাদি পরিমাপের ক্ষেত্রে উক্ত রাশিসমূহকে প্রথমে ইলেক্ট্রিক্যাল সিগন্যালে রূপান্তর করতে হয়।

আর এর জন্য সেন্সিং ডিভাইস বা সেন্সর ব্যবহার করা হয়। এসব সেন্সর আধুনিক ইলেক্ট্রনিকস যন্ত্রের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হচ্ছে।

ট্রান্সডিউসার (Transducer)

ইন্সট্রুমেন্টেশন সিস্টেমে শক্তিকে অনবরত এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় রূপান্তর করতে হয়। আর এর জন্য প্রয়োজনীয় ডিভাইসই হলো ট্রান্সডিউসার। সুতরাং বলা যায়, ট্রান্সডিউসার এমন এক ধরনের ডিভাইস, যা কোনো শক্তির এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় রূপান্তর করতে পারে।

আর যেসব ট্রান্সডিউসারের সাহায্যে যেকোনো নন-ইলেক্ট্রিক্যাল শক্তিকে ইলেক্ট্রিক্যাল শক্তিকে রূপান্তর করে তাকে ইলেকট্রিক্যাল ট্রান্সডিউসার বলে। এসব ইলেক্ট্রিক্যাল ট্রান্সডিউসার মূলত রেজিস্ট্যান্স, ক্যাপাসিটেন্স ও ইন্ডাক্টেন্স এর পরিবর্তনের ভিত্তিতে কাজ করে থাকে।

আর এই পরিবর্তনের উপর নির্ভর করে কোনোটিকে বলা হয় রেজিস্টিভ, কোনোটিকে বলা হয় ক্যাপাসিটিভ, কোনোটিকে বলা হয় ইন্ডাক্টিভ ট্রান্সডিউসার।

তাছাড়াও কিছু কিছু ট্রান্সডিউসার আছে যা নিজেই বৈদ্যুতিক সিগন্যাল উৎপন্ন করে — এদেরকে এক্টিভ ট্রান্সডিউসার বলে। মাইক্রোফোন, থার্মিস্টার, থার্মোকাপল, ফটোসেল, LVDT, RTD ইত্যাদি হলো ট্রান্সডিউসারের উদাহরন।

সেন্সর (Sensor)

যে সকল ডিভাইস এটির পারিপার্শ্বিক ভৌত, রাসায়নিক বা বায়োলজিক্যাল অবস্থা বা অবস্থার পরিবর্তন কে শনাক্ত করতে পারে, তাকে সেন্সর বলে।

এই সকল অবস্থা সমূহ সেন্সরের ইনপুটে ব্যবহৃত হয়। কয়েকটি সেন্সরের উদাহরণ- ফটোডায়োড, ফটোট্রানজিস্টার, আল্ট্রাসনিক সেন্সর, টেম্পারেচার সেন্সর ইত্যাদি।

সেন্সরের কাজ দুইটি, যথাঃ

  1. ফিজিক্যাল কোয়ান্টিটির উপস্থিতি ডিটেক্ট করা এবং এর পরিবর্তনের পরিমাপ নির্নয় করা।
  2. ইনপুটের সমানুপাতিক ইলেক্ট্রিক্যাল সিগন্যাল উৎপন্ন করা।

এবার একটু গল্পের ছলে বুঝার চেষ্টা করি

“Sensor” & “Transducer ” দুই ভাই রাম-লক্ষণ। দুই ভাই হলেও তাদের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য আছে। সেটা কি???!!!!

তার আগে একটা উপমা দিয়ে রাখি। ধরুন, মেঘাছন্ন দিন। আপনি শুয়ে শুয়ে গল্পের বই পড়ছেন। হঠাৎ আপনি জানালের বাইরে একটি কাল ছায়ামূর্তি দেখলেন। দেখে নিশ্চয় ভয় পাবেন। হুম পাব। তো???

এখন প্রশ্নটা হচ্ছে কেন ভয় পাবেন? মেডিকেল এর ভাষায় ভূতের উপস্থিতির সংকেত আপনার নিউরনে পৌছায় বলে আপনি তাতে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে সাড়া দিচ্ছেন। ভাই সেন্সর ও এরকম ই কাজ করে।

সে যেকোন Physical Signal ( Heat, pressure, humidity, temperature, motion, contact) কে সেন্স করে তাকে Electrical Signal (Analog / Digital) এ রুপান্তরিত করে। তারপর measurement টা আমরা দেখতে পারি।

Example : Thermistor, Thermocouple, RTD, Pressure gauge, Humidity sensor, proximity sensor. তাইলে Transducer টা কি? সে কি করে? সেও কি একই কাজ করে?? হুম করে আবার করেও না।

মানেটা কি? Transducer Physical energy কে Electrical Energy te convert ত করেই সে সাথে সাথে সব ধরনের শক্তিকে অন্য শক্তিতে পরিবর্তন করতে পারে। কিন্তু measurement প্রত্যক্ষ করা যায় না।তাই Transducer গুলো এক ধরনের সেন্সর কিন্তু সেন্সররগুলো ট্রান্সডিউসার হতে পারেনা।

Example : Microphone, Antenna অবশেষে Sensor & Transducer এর মূল পার্থক্য দাড়াল Sensor শুধুমাত্র Physical energy কে Electrical Energy তে রুপান্তরিত করে কিন্তু ভাই Transducer এক্ষেত্রে উদার। সে সকল শক্তিকে অন্য শক্তিতে convert করে।

বিভিন্ন সেন্সর সম্বন্ধে বিস্তারিত পড়ুন