হাফ ওয়েভ রেকটিফায়ার কার্যপ্রণালী, ও কিছু কমন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন জেনে নিন

হাফ ওয়েভ রেকটিফায়ার মানে অর্ধ তরঙ্গ কে রেকটিফাই করবে। হাফ ওয়েভ রেক্টিফায়ারের ইনপুটে যখন পূর্ণ সাইকেল দেওয়া হবে তখন এর আউটপুটে অর্ধ ডিসি সাইকেল পাওয়া যাবে। অর্থাৎ অর্ধ সাইকেল কে রেক্টিফাই করবে। এটাই মূলত হাফ ওয়েভ রেকটিফায়ারের কাজ।

হাফ ওয়েভ রেকটিফায়ার

হাফ ওয়েভ রেকটিফায়ার হলো এমন একটি রেক্টিফায়ার যেটা ইনপুটের পজেটিভ হাফ সাইকেলকে কনভার্ট করে আউটপুটে পালসেটিং ডিসিতে রূপান্তরিত করে থাকে। সবচেয়ে সহজ রেক্টিফায়ার সার্কিট হচ্ছে হাফ ওয়েভ রেক্টিফায়ার সার্কিট।

সেমিকন্ডাক্টর সম্বন্ধে বিস্তারিত পড়ুন

রেক্টিফায়ার সম্বন্ধে বিস্তারিত পড়ুন 

ফুল ওয়েভ ও ব্রিজ রেকটিফায়ার সম্বন্ধে বিস্তারিত পড়ুন

হাফ ওয়েভ রেকটিফায়ার তৈরি করতে যা যা লাগবেঃ

  1. এসি সোর্স
  2. ট্রান্সফরমার
  3. ডায়োড
  4. রেজিস্টর
এসি সোর্স

এসি সোর্স সাধারণত অল্টারনেটিং কারেন্টকে সার্কিটে সাপ্লাই করে থাকে। অল্টারনেটিং কারেন্টকে সাইনোসয়ডাল ওয়েভফর্ম এর মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।

ট্রান্সফরমার

ট্রান্সফরমার এমন একটি ডিভাইস যা এসি ভোল্টেজ কে কমায় বা বাড়ায়। স্টেপ ডাউন ট্রান্সফরমার এসি ভোল্টেজ কে কমিয়ে আনে এবং স্টেপ আপ ট্রান্সফরমার এসি ভোল্টেজকে বাড়ায়।

হাফ ওয়েভ রেক্টিফায়ারে স্টেপ ডাউন ট্রান্সফরমার ব্যবহার করা হয়ে থাকে কারন ডায়োডের জন্য খুব কম ভোল্টেজ প্রয়োজন পরে। কোন কোন ক্ষেত্রে স্টেপ আপ ট্রান্সফরমারও ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

স্টেপ ডাউন ট্রান্সফরমারে প্রাইমারী ওয়িন্ডিং এ টার্ন সংখ্যা সেকেন্ডারি ওয়িন্ডিং এর চেয়ে বেশি থাকে।

ট্রান্সফরমার নিয়ে বিস্তারিত পড়ুনঃ http://blog.voltagelab.com/tag/ট্রান্সফরমার/

ডায়োড

ডায়োড একটি দুই টার্মিনাল বিশিষ্ট ডিভাইস যা কারেন্টকে একমুখি দিকে যেতে দেয় এবং বিপরীত দিকে বাধা প্রদান করে থাকে।

ডায়োড নিয়ে বিস্তারিত পড়েনঃ http://blog.voltagelab.com/ডায়োড

রেজিস্টর

রেজিস্টর এমন একটি ইলেকট্রনিক্স কম্পোনেন্ট যা কারেন্ট প্রবাহে বাধা প্রদান করে থাকে।

রেজিস্টর নিয়ে বিস্তারিত পড়েনঃ http://blog.voltagelab.com/রেজিস্টর/

হাফ ওয়েভ রেকটিফায়ার অপারেশন

হাফ ওয়েভ রেকটিফায়ার

এখানে,

I = কারেন্ট

D = ডায়োড

RL = লোড রেজিস্টর

T = ট্রান্সফরমার

+ = পজেটিভ হাফ সাইকেল

– = নেগেটিভ হাফ সাইকেল

পজেটিভ ও নেগেটিভ হাফ সাইকেলের ক্ষেত্রে

যখন ইনপুটে ২২০ ভোল্ট সাপ্লাই দেয়া হয় তখন সার্কিটে ব্যবহিত স্টেপ ডাউন ট্রান্সফরমার ভোল্টেজ কমিয়ে আউটপুটে প্রদান করে। ট্রান্সফরমারে সেকেন্ডারি ওয়িন্ডিং এ লো ভোল্টেজ সরাসরি ডায়োডে প্রবাহিত হবে।

পজেটিভ হাফ সাইকেলের সময় ডায়োড ফরোয়ার্ড বায়াসে থাকবে এবং কারেন্ট যেতে দিবে। নেগেটিভ হাফ সাইকেলের সময় ডায়োড রিভার্স বায়াসে থাকবে এবং কারেন্ট প্রবাহ ব্লক করে দিবে। এক কথায় ডায়োড পজেটিভ হাফ সাইকেল যেতে দিবে এবং নেগেটিভ হাফ সাইকেলকে ব্লক করে দিবে।

এর আউটপুট চিত্র নিচে দেওয়া হলো।

হাফ ওয়েভ রেকটিফায়ার

হাফ ওয়েভ রেকটিফায়ার সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন উত্তর

পিক ইনভার্স ভোল্টেজ (PIV-Peak Inverse Voltage): ডায়োডের সর্বোচ্চ রিভার্স ভোল্টেজকে পিক ইনভার্স ভোল্টেজ বলা হয়।

গড় মান: একটি পরিবর্তনশীল রাশির অর্ধ সাইকেলের তাৎক্ষনিক মান সমূহের গড়কে গড় মান বলে।

গড় মান = ২ / pie*x সর্বোচ্চ মান 

রিপল ফ্যাক্টর (Ripple Factor): রেক্টিফায়ার আউটপুটে যে পালসেটিং ডিসি পাবো সেই ডিসির এসি কম্পোনেন্টের আর এম এস মান এবং ডিসি কম্পোনেন্টের মানের অনুপাতকে রিপল ফ্যাক্টর বলে।

অর্থাৎ রিপল ফ্যাক্টর = পালসেটিং ডিসির এসি কম্পোনেন্টের আর এম এস মান / ডিসি কম্পোনেন্টেরন মান।

হাফ ওয়েভ রেক্টিফায়ারারের রিপল ফ্যাক্টরের মান ১.২১

ফর্ম ফ্যাক্টর: কোন সাইন ওয়েভের আর,এম,এস মান এবং গড় মানের অনুপাতকে ফর্ম ফ্যাক্টর বলে। হাফ ওয়েভ রেক্টিফায়ারের ক্ষেত্রে এটি ১.৫৭ এর সমান। একে Kf দ্বারা প্রকাশ করা হয়ে থাকে।

Kf = আর,এম,এস মান / গড় মান 

পিক ফ্যাক্টর: কোন ওয়েভের সর্বোচ্চ মান এবং আর,এম, এস মানের অনুপাতকে পিক ফ্যাক্টর বা এমপ্লিচুড ফ্যাক্টর বলে। একে Ka দ্বারা লেখা হয়।

Ka = সর্বোচ্চ মান / আর,এম,এস মান

হাফ ওয়েভ রেকটিফায়ার সম্বন্ধে ইংরেজিতে পড়ুনঃ what is half wave recitifier?

সেমিকন্ডাক্টর সম্বন্ধে বিস্তারিত পড়ুন

রেক্টিফায়ার সম্বন্ধে বিস্তারিত পড়ুন 

ফুল ওয়েভ ও ব্রিজ রেকটিফায়ার সম্বন্ধে বিস্তারিত পড়ুন