ম্যাগ্নেটিক কন্টাক্টর আর রিলের কাজ একই হলেও এই দুটি সমান ভোল্টেজে ব্যবহার করা যায় না কারন ম্যাগ্নেটিক কন্টাক্টর ব্যবহার করা হয় হাই ভোল্টেজে এবং রিলে ব্যবহার করা হয় লো ভোল্টেজে।
ম্যাগনেটিক কন্টাক্টর হলো ইলেক্ট্রোম্যাগ্নেটিক চালিত সুইচ। এটি সচারচর অনেক বড় বড় অটোমেশন ইন্ডাস্ট্রিতে মোটর কন্ট্রোল করার জন্য ব্যবহার করা হয়। এই লেখাটিতে ম্যাগ্নেটিক কন্টাক্টরের কন্ট্রোলিং ডায়াগ্রাম ও ইন্ড্রাস্ট্রিতে এর ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করা হবে।
এই লেখাটি পড়ার আগে ম্যাগ্নেটিক কন্টাক্টর বেসিক বিষয়গুলো বিস্তারিত জেনে নিন নিচের লিঙ্ক থেকেঃ
ম্যাগ্নেটিক কন্টাক্টর সম্বন্ধে বিস্তারিত পড়ুন
ম্যাগ্নেটিক কন্টাক্টরের অভ্যন্তরিং গঠন
ম্যাগ্নেটিক কন্টাক্টর কানেকশন
উপরের চিত্রে ম্যাগ্নেটিক কন্টাক্টরের কানেকশন ডায়াগ্রাম দেখানো হয়েছে। A1 এবং A2 দ্বারা ম্যাগ্নেটিক কন্টাক্টরের কয়েলকে এনার্জাইজড করার জন্য পাওয়ার দেয়া হয়ে থাকে। L1, L2, L3 হলো থ্রি ফেজ পাওয়ার লাইন অর্থাৎ ম্যাগ্নেটিক কন্টাক্টরের এক প্রান্তে (১,৩,৫ দিয়ে) থ্রি ফেজ লাইন ডুকে এবং অপর প্রান্ত(২,৪,৬) দিয়ে থ্রি ফেজ লাইন বের হয়। উপরের চিত্রে T ও L নরমালি ওপেন অবস্থায় রয়েছে।
ম্যাগ্নেটিক কন্টাক্টরের সাহায্যে মোটর কন্ট্রোল ডায়াগ্রাম
উপরের চিত্র-১ঃ A1 এবং A2 তে ২২০ ভোল্ট এসি পাওয়ার সাপ্লাই দিয়ে সাথে একটি সুইচ S/W ব্যবহার করা হয়েছে। চিত্র-১ এ সুইচটি খোলা আছে ফলে উপরে কন্টাক্ট গুলো ওপেন অবস্থায় () রয়েছে এবং কয়েলের মধ্যে দিয়ে কোন কারেন্ট প্রবাহিত হবে না।
উপরের চিত্র-২ঃ সুইচটি ক্লোজ করা হয়েছে ফলে কয়েলটি এনার্জাইজড হবে এবং ইলেক্ট্রোম্যাগ্নেটিক সৃষ্টি হওয়ার মাধ্যমে সুইচ ক্লোজ () হবে ও আউটপুটে কারেন্ট প্রবাহিত হবে। এখানে R, Y, B হচ্ছে থ্রি ফেজ লাইন যা দ্বারা থ্রি ফেজ মোটরকে রান করা হয় আর U, V, W মোটরের তিনটি প্রান্ত। যখন কয়েল এনার্জাইজড হবে তখন উপরের সুইচগুলো ক্লোজ হবে এবং কারেন্ট R, Y, B থেকে U, V, W তে পাস হবে।
কন্টাক্টরের সাহায্যে একটি লোড কন্ট্রোল ও ল্যাচিং ডায়াগ্রাম
উপরে একটি কন্ট্রোলিং ডায়াগ্রাম দেখানো হয়েছে। একটি রিসেট/অফ সুইচ, একটি সেট/অন সুইচ এবং একটি বাতি লোড হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। যখন কয়েল A1 এবং A2 কয়েল এনার্জিইজড হবে তখন ভিতরের তিনটি সুইচ অন হবে।
আউটপুটে লোড হিসেবে একটি বাতি ব্যবহার করা হয়েছে যা সাধারণত ২২০ ভোল্ট এসিতে চলে। যখন কয়েলকে এনার্জিইজড করা হবে তখন সবগুলো সুইচ অন অবস্থায় থাকবে এবং বাতিটি জ্বলবে। অর্থাৎ ২২০ ভোল্ট এসি বাতির সাথে আলাদা সংযোগ রয়েছে ও এই অবস্থায় বাতিটি জ্বলবে।
যখন সেট বা অন সুইচে পুশ করা হবে তখন পুশ করার সাথে সাথে কয়েল এনার্জিইজড হবে এবং বাতিটি জ্বলবে কিন্তু যখন পুশ ছেড়ে দেয়া হবে তখন আবার সাথে সাথে বাতিটা বন্ধ হয়ে যাব। একারনেই মূলত ল্যাচিং করা হয়ে থাকে।
চিত্র লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন যে সেট/অন সুইচের আগে একটি ল্যাচিং কানেকশন করা হয়েছে। ফলে অন সুইচ পুশ করার সাথে সাথে ছেড়ে দিলেও কারেন্ট ল্যাচিং এর মাধ্যমে বাইপাস হয়ে A2 এর মধ্য দিয়ে A1 হয়ে ফেরৎ যাবে এবং কয়েল সবসময় এনার্জাইজড থাকবে। পুরো সিস্টেমকে বন্ধ করার জন্য মূলত রিসেট / অফ সুইচ ব্যবহার করা হয়।
লিখে যতটুকো সম্ভব চেষ্টা করা হয়েছে বুঝানোর, এরপরেও যদি কারো সমস্যা থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট করবেন।