কিভাবে মানুষ কোন কিছু মনে রাখতে পারে? কারণ তার মেমোরি বা স্মৃতি মস্তিষ্কের একটি বিশেষ জায়গায় সুরক্ষিত থাকে। যার ব্রেন সেল যত কার্যকর সে তত বেশি স্মৃতিধারণ করে রাখতে পারে।
আর মানবমস্তিষ্কের অনুরুপেই মূলত কম্পিউটার মেমোরির আবির্ভাব। বিজ্ঞানীরা ভাবল মানুষ যেভাবে তার মস্তিষ্কে স্মৃতিধারণ করে রাখে ঠিক সেই ভাবে কোন ডিভাইসেও বিভিন্ন তথ্য বা ডাটা সংরক্ষণ সম্ভব। এ চিন্তা থেকেই এল মেমোরি চিপ।
আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে একটি মজার তথ্য জানব। সেটি হল বাজারে গেলে কেন বিক্রেতারা শুধু আমাদের 2GB, 4GB, 8GB, 64GB মেমোরি কার্ড অফার করে। চলুন শুরু করা যাক।
মেমোরি সাইজ সর্বদাই 2GB, 4GB, 8GB, 64GB হওয়ার কারণ কি?
মানবমস্তিষ্কে যেমন কোন তথ্য নান্দনিকভাবে সংরক্ষিত থাকে একইভাবে মেমোরি চিপেও একটি সুবিন্যস্ত উপায়ে ডাটা সংরক্ষিত থাকে।
সাধারণ মেমোরি চিপে ডাটা ডিজিটাল নাম্বারে সংরক্ষিত থাকে। আর ডিজিটাল নাম্বার বলতে আমরা বুঝি “1” এবং “0”। এখন ডাটাগুলো বিভিন্ন উপায়ে সংরক্ষিত থাকতে পারে।
মেমোরি চিপে ডাটা এরেঞ্জমেন্ট
যদি আমি দুটো বিট নিয়ে ডাটাকে এরেঞ্জ করতে চাই তাহলে বিন্যাস হবেঃ
00 11 10 01
অর্থাৎ আমি চার ধরনের কম্বিনেশন তৈরি করতে পারছি।
যদি আমি তিনটি বিট নিয়ে এরেঞ্জ করি তাহলে দাড়াচ্ছে,
000 100 001 101 111 011 110 010
অর্থাৎ, আমি আটটি কম্বিনেশন তৈরি করতে পারছি।
ব্যাপারটা যদি গভীরভাবে লক্ষ্য করেন,
এখানে আমি দুইটি বিটকেই সর্বদা বিবেচনা আনছি। একটি ওয়ান আরেকটি জিরো।
এখন, এই উপাত্তগুলো থেকে 2^n ফর্মূলাটি পাওয়া যায়।
এখানে, n হল নাম্বার অফ পসিবল কম্বিনেশন অর্থাৎ আমি প্রতিটি সেগমেন্টে কয়টি করে বিট রাখব।
যদি n = 1 হয়, অর্থাৎ আমি প্রতি সেগমেন্টে একটি করে বিট রাখি, তাহলে, মেমোরি সাইজ হবে 2^n = 2^1 = 2 GB
আবার, যদি n = 2 হয়, তাহলে মেমোরি সাইজ হবে, 2^2 = 4GB
আবার, যদি প্রতিটি সেগমেন্টে তিনটি করে বিট রাখি, তাহলে
n = 3। এমতবস্থায়,
মেমোরি সাইজ = 2^3 = 8GB
আবার n = 4 হলে,
মেমোরি সাইজ = 2^4 = 16 গব
এভাবেই মূলত মেমোরি সাইজ হিসেব করা হয়। আপনার ফোন মেমোরি 4GB কথাটার মানে হচ্ছে আপনার সকল ডাটা মেমোরিতে (1 byte = 4bits) আকারে সবিন্যস্ত থাকবে।
আরো কিছু আর্টিকেল পড়ুন
HDD এবং SSD এর মধ্যে পার্থক্য কি?