নবীনদের কাছে ভাইবা বোর্ড আতংকের অন্য নাম। তাই আজ এই ভীতি দূর করতেই ৮ টি ভাইবা প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে হাজির হলাম। চলুন শুরু করা যাক।
নিজের পরিচয় দেওয়াঃ
- এটা খুবই সাধারণ প্রশ্ন এবং যেকোনো ভাইবাই প্রথমে এই প্রশ্ন দিয়ে শুরু হবে।
- তবে এ ক্ষেত্রে একটু সুন্দরভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করলে ভাইবা বোর্ডে সকলের সাথে কমিউনিকেশন টা দৃঢ় করে নিতে পারেন।
- নিজের সম্পর্কে খুব বেশি কিংবা কম না বলে সিভির বাইরে কোনো প্রয়োজনীয় তথ্য থাকলে এ ক্ষেত্রে তা জানিয়ে দেওয়া যেতে পারে।
সেই ধরনের ৮ টি ভাইবা প্রশ্ন ও উত্তর সম্পর্কে আজ আমরা জানব।
যোগ্যতা / অর্জন সম্পর্কে বলাঃ
এই ধরণের প্রশ্নের উত্তরে একটু কৌশলী হওয়া প্রয়োজন। প্রতিষ্ঠানটি যে ধরণের যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তি চাচ্ছে তার ধরন অনুযায়ী এখানে নিজেকে উপস্থাপন করা উচিত। এখানে যথাযথ প্রতিভা প্রদর্শন করতে পারলে তা অন্য প্রার্থী থেকে আলাদা করে তুলবে আপনাকে।
চাকরি করার কারণঃ
- অর্জন, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার পাশাপাশি চাকরি করার পিছনে উপযুক্ত কারণ গুলো উল্লেখ করুন।
- খুব বেশি কথা না বলে দায়িত্বশীলতা, চাকরির পেছনে আগ্রহের বিষয়টি তুলে ধরুন।
প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ধারণাঃ
- চাকরির ইন্টারভিউ দিতে আসার পূর্বে সেই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে একটা পর্যাপ্ত ধারণা নিয়ে আসা জরুরি।
- নাহয় প্রশ্নকর্তার প্রশ্ন শুনে বিচলিত হয়ে যাওয়ার একটা সুযোগ থেকে যায়।
- প্রতিষ্ঠান এর ওয়েবসাইট থেকে যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি জেনে নিন।
অতিরিক্ত কাজের প্রেশার নিতে পারার ক্ষমতাঃ
- ইন্টারভিউ বোর্ডে এটা খুবই কৌশলগত একটা প্রশ্ন যে চাপের মাঝে থাকলে কিভাবে পরিস্থিতি সামলে উঠতে পারা যাবে।
- চাপ সহ্য করার ক্ষমতা আছে এই বিষয়টি সেখানে ভালোভাবে উপস্থাপন করতে হবে।
দূর্বলতার বিষয়টি উল্লেখ করাঃ
অনেকে এই বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চান যা পরে বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই এ ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা দরকার।
৫ বছর পরে নিজেকে যেখানে দেখতে চানঃ
এই প্রশ্নটা সাধারণত করা হয় প্রার্থী কতোটা ক্যারিয়ার সচেতন তা যাচাই করতে। এ ক্ষেত্রে নিজেকে উচ্চাভিলাষী প্রমাণ করতে পারলে এতে নিজেকে দায়িত্বশীল প্রমাণ করা যাবে।
চাকরিরত অবস্থায় সিন্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়াঃ
চাকরিতে থাকা অবস্থায় দক্ষতার সাথে সকল কাজ চালিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা আছে কিনা সেটা এই প্রশ্নের মাধ্যমে যাচাই করা হয়।
এছাড়াও যদি নিজের ডিপার্টমেন্ট সংক্রান্ত কোনো প্রশ্ন করে একদম সঠিক ধারণা না থাকলে তার উত্তর না দেওয়াই শ্রেয়। এ ক্ষেত্রে প্রার্থী প্রশ্নকর্তার কাছে বিপত্তিতে পরে যেতে পারেন।
সুতরাং চাকরির ভাই্বা দিতে যাওয়ার সময় ঘাবড়ে না গিয়ে বুদ্ধিমত্তার সাথে এ সকল প্রশ্নের অনুশীলন করে নিজেকে যোগ্য প্রার্থীতে পরিণত করা যাবে।
চাকরির ভাইবা সংক্রান্ত আরো কিছু পোস্ট