সুইচগিয়ার শব্দটি ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং জগতে অতি পরিচিত একটি শব্দ। সুইচগিয়ার শব্দটি শুনলেই বিভিন্ন কন্ট্রোল এবং সুইচিং ডিভাইসের দৃশ্য আমাদের চোখে ভেসে উঠে। তবে সুইচগিয়ারের পাশাপাশি সুইচইয়ার্ড শব্দটিও মোটামুটিভাবে পরিচিত। অনেকেই এই দুটো শব্দকে এক মনে করে ভূল করে থাকেন। চলুন আজ সুইচগিয়ার এবং সুইচইয়ার্ড এই দুটো সিস্টেমের মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা করব। আর দেরি কেন? শীতের আমেজ শুরু হল বলে। হাতে কফির কাপ নিয়ে চুমুক দিতে দিতে পড়তে থাকুন আর্টিকেলটি।
সুইচগিয়ার এবং সুইচইয়ার্ড
ইন্ডাস্ট্রির চালিকাশক্তি হল সুইচগিয়ার। ইন্ডাস্ট্রিতে দুই ধরনের সুইচগিয়ার থাকে।
একটি হল এইচ টি সুইচগিয়ার অপরটি হল এল টি সুইচগিয়ার।
বিভিন্ন প্রকার সুইচ, রিলে, ম্যাগনেটিক কন্ট্যাক্টর এবং সার্কিট ব্রেকার নিয়ে সুইচগিয়ার প্যানেল গঠিত।
এইচ টি সুইচগিয়ারে সাধারণত ১১-৩৩ কিলোভোল্ট লাইনের সংযোগ থাকে।
এইচ টি সুইচগিয়ার প্যানেলে ভ্যাকুয়াম সার্কিট ব্রেকার ব্যবহার করা হয়। তবে ট্রান্সফরমার ৫০০ কে ভি এ এর নিচে হলে লোড ব্রেক সুইচ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ট্রান্সফরমারের সাপ্লাই সাইডের সাথে এইচ টি সুইচগিয়ার সংযুক্ত থাকে।
আর লোড সাইডের সাথে এল টি প্যানেল সংযুক্ত থাকে।
এল টি সুইচগিয়ারে ৪০০-৪৪০ ভোল্ট বিদ্যমান। এতে এয়ার সার্কিট ব্রেকার থাকে। এই ব্রেকারের আউটলেট ডিস্ট্রিবিউশন বোর্ড এবং সাব ডিস্ট্রিবিউশন বোর্ডে পৌছায়।
এবার গল্প হবে সুইচইয়ার্ড নিয়ে। সাবস্টেশনের বিভিন্ন ইকুইপমেন্ট যথাঃ ট্রান্সফরমার, লাইটনিং এরেস্টার, সিটি, পিটি, অটোরিক্লোজার, সার্কিট ব্রেকার নিয়ে যে সুবিশাল পরিসর তাকে বলা হয় সুইচইয়ার্ড।
সুইচইয়ার্ডে ৩৩ থেকে ৮০০ কিলোভোল্ট পর্যন্ত ভোল্টেজ থাকে।
বৈদ্যুতিক ট্রান্সমিশন বা ডিস্ট্রিবিউশন টাওয়ারগুলো সুইচইয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত।
বৈদ্যুতিক শক্তি আমাদের যেমন কাজে লাগে তেমনি এই শক্তিকে নিয়ন্ত্রিত পর্যায়ে না রাখতে পারলে যেকোনো পর্যায়ে ঘটতে পারে দূর্ঘটনা। আর এই দূর্ঘটনা এড়াতেই নির্মিত হয় সুইচগিয়ার প্যানেল। যেখানে রিলে, সার্কিট ব্রেকারের মাধ্যমে বিদ্যুৎকে সুনিয়ন্ত্রিত পর্যায়ে রাখা যায়। তাই সুইচগিয়ার ইন্ডাস্ট্রিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। এ থেকেই বুঝা যায় বিদ্যুৎ যেমন কল্যাণকর তেমনি অকল্যাণকর যদি তাকে ঠিকভাবে সামলানো না যায়।
সর্বোপরি সুইচইয়ার্ড হল সাবস্টেশনের ভিন্ন নাম আর সুইচগিয়ার হল বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ এবং সুরক্ষা প্যানেল বা কক্ষ।
আজকের আর্টিকেলটি কেমন লাগল তা কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন। আগামীতে আরো মজার আর্টিকেল নিয়ে উপস্থিত হব ইনশাআল্লাহ।
আরো কিছু আর্টিকেল
ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের সুইচের সাথে পরিচিতি