বিদ্যুৎ নিয়ে অজানা এবং মজাদার কিছু তথ্য

বিদ্যুৎ সত্যিই বিজ্ঞানের এক অন্যতম আশীর্বাদ। আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে অনেক সহজতর করে তুলেছে বিদ্যুৎ। কিন্তু এই বিদ্যুৎ নিয়ে আমরা কতটুকুই জেনেছি? বিদ্যুৎ এর অনেক গভীর রহস্য এখনো আমাদের অজানা। আজকে এই আর্টিকেলটিতে বিদ্যুৎ সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করব। চলুন শুরু করা যাক।

বিদ্যুৎ নিয়ে মজার তথ্য
বিদ্যুৎ

বিদ্যুৎ নিয়ে অজানা সব তথ্য

  • ইলেকট্রিসিটি প্রকৃত অর্থে আবিষ্কৃত হয়েছিল ৬০০ খ্রিস্টপূর্বে।
  • কপার পরিবাহীর মধ্য দিয়ে ইলেকট্রিসিটি আলোর গতিতে ভ্রমণ করে যা প্রতি সেকেন্ডে প্রায় 300,000 কিলোমিটার।
  • স্থির বিদ্যুতের স্পার্ক 3,000 ভোল্ট থেকে 50,000 ভোল্ট পর্যন্ত নির্গত করে।
  • একটি বজ্রপাত তিন মিলিয়ন (3,000,000) ভোল্ট পর্যন্ত ভোল্টেজ ধারণ করতে পারে এবং স্থায়ী হয় এক সেকেন্ডেরও কম সময় পর্যন্ত।
  • গ্লোবাল এনার্জি স্ট্যাটিস্টিকাল ইয়ারবুক অনুসারে, বৈশ্বিক ইলেকট্রিসিটি উৎপাদন 25,000 টেরোয়াট ঘন্টা (1 টেরোয়াট = 1 ট্রিলিয়ন ওয়াট) কাছে পৌঁছেছে।
  • বিদ্যুতের সাহায্যে চালিত প্রথম চারটি সাধারণ জিনিস হল সেলাই মেশিন, পাখা, কেটলি এবং টোস্টার।
  • এল ই ডি লাইট বাল্বগুলি, প্রচলিত বাল্বগুলি যে ইলেকট্রিসিটি ব্যবহার করে তার প্রায় ছয় ভাগের এক ভাগ ব্যবহার করে।
  • একটি সাধারণ মাইক্রোওয়েভ ওভেন তার ডিজিটাল ঘড়ির চেয়ে বেশি ইলেকট্রিসিটি খরচ করে।
  • ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রাম (ইসিজি) মেশিনগুলি হৃদপিণ্ডের মধ্য দিয়ে যাওয়া ইলেকট্রিসিটি পরিমাপ করে। জীবিত ব্যক্তির প্রতিনিয়ত যেমন হৃদস্পন্দন ঘটে তেমনি ইসিজি মেশিনটি নিয়মিত স্পাইকের সাহায্যে পর্দা জুড়ে চলমান একটি লাইন প্রদর্শন করে যেমনটি আপনি একশত সিনেমা এবং টিভি শোতে দেখেছেন।
  • আমাজন নদীর কিছু প্রজাতির মাছের মধ্যে কিছু নির্দিষ্ট পেশী বহু বছর ধরে ইলেকট্রোসাইট নামে পরিচিত কোষগুলিতে বিবর্তিত হয়েছে, যা তাদের অন্ধকারে বাধা এবং অন্যান্য প্রাণী সনাক্ত করতে সাহায্য করে।
  • এচিডনা এবং প্লাটিপাস খাদ্য খুঁজে বের করার জন্য তাদের শিকার দ্বারা নির্গত বৈদ্যুতিক প্রবণতা ব্যবহার করে। একটি প্লাটিপাসে প্রায় 40,000 ইলেকট্রিসিটি সেন্সর বা ইলেকট্রোরিসিপ্টরগুলো একাধিক স্তরে সজ্জিত থাকে।
  • Shark, Paddle Fish এসব মাছের দেহে সাধারণত electroreceptors থাকে যা তাদের ইলেকট্রিসিটি রাতের বেলায় অস্বচ্ছ পানিতে সামনের যেকোন বস্তুর উপস্থিতি অনুধাবনে সাহায্য করে। আর এই প্রক্রিয়াকে “Active Electrolocation” বলা হয়।
  • বৈদ্যুতিক ইল মাছ (এক প্রকারের ছুরিফিশ) শিকার বা আত্মরক্ষার জন্য 600 ভোল্টের ধাক্কা দিতে পারে। এই মাছের স্নায়ুকোষ রুপান্তরিত হয়ে এক ধরনের বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র তৈরি করতে পারে যা বৈদ্যুতিক চার্জ ধারণ করে রাখে আর একেই বলা হয় EOD (Electrical Organic Discharge)। ইল মাছের ৮০% অংশ জুড়ে এই বিশেষ ধরনের কোষ বিদ্যমান। যা মাছটিকে রীতিমতো বৈদ্যুতিক কোষে রুপান্তর করেছে। এই অংশের সাহায্যে মাছটি উচ্চ ও নিম্ন দুই ধরনের ভোল্টেজ তৈরি করতে পারে। তবে সব মাছে EOD এর প্রকৃতি এক রকম হয়না।
  • এক দিনের জন্য কোনও মানুষকে পাওয়ার করতে আপনার প্রায় 648 AA ব্যাটারি লাগবে (1 cal = 4.2 joule এর উপর ভিত্তি করে)
  • সমগ্র পৃথিবীর ৫৪% বিদ্যুৎ শক্তিই অপচয় হচ্ছে যা অবাক করার মত তথ্য।
  • সমগ্র পৃথিবীতে কয়লা ইলেকট্রিসিটি উৎপাদনের অন্যতম উৎস।
  • পানি বিদ্যুতায়িত হতে পারে এমনকি একজন মানুষের মৃত্যুর কারণও হতে পারে।

ইলেকট্রিসিটি নিয়ে আরো মজাদার পোস্ট

বিদ্যুৎ নিয়ে জনমনের ভ্রান্ত ধারণা এবং সমাধান যা জেনে রাখা জরুরী

বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে চলে আসার রহস্য