সিঙ্গেল ফেইজ ইন্ডাকশন মোটরকে সেলফ স্টার্টিং করার অন্যতম পদ্ধতি হল Capacitor-type winding. যে সব মোটরে Capacitor-type winding ব্যবহৃত হয় তাদেরকে ক্যাপাসিটর টাইপ মোটর বলা হয়। এই মোটর মূলত Split-phase winding এর মতই কিন্তু এর সাথে এক বা একাধিক ক্যাপাসিটর সংযুক্ত থাকে।
কার্যপদ্ধতি
আমরা জানি সিঙ্গেল ফেইজ ইন্ডাকশন মোটর সেলফ স্টার্টিং নয়। তাই Split-phase winding মোটরের স্ট্যাটরে প্রধান এবং সহায়ক দুটি কুন্ডলী থাকে। Split-phase winding মোটরের স্টার্টিং টর্ক খুব কম তাই এটি দিয়ে খুব বেশি লোড স্টার্ট করা সম্ভব নয়। তাই এর সহায়ক কুন্ডলীর সাথে ক্যাপাসিটর লাগানো হয়। ক্যাপাসিটরের মান এমন ভাবে নির্বাচন করতে হবে যেন সহায়ক কুন্ডলীর কারেন্ট প্রধান কুন্ডলীর কারেন্টের থেকে ৯০ ডিগ্রী এগিয়ে থাকে। এর ফলে মোটরে ২টি স্ট্যাটর চৌম্বক ক্ষেত্র উৎপন্ন হবে এবং মোটরটি এমন ভাবে স্টার্ট হবে যেন এটি থ্রি-ফেইজ মোটর।
প্রকারভেদ
Capacitor-type winding এর উপর ভিত্তি করে সিঙ্গেল ফেইজ ইন্ডাকশন মোটরকে ৩ ভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ
- ক্যাপাসিটর-স্টার্ট মোটর।
- ক্যাপাসিটর-স্টার্ট ক্যাপাসিটর-রান মোটর।
- পার্মানেন্ট ক্যাপাসিটর মোটর।
ক্যাপাসিটর-স্টার্ট মোটর

ক্যাপাসিটর-স্টার্ট মোটরে এর সহায়ক কুন্ডলীর (Auxilary Winding) সাথে সিরিজে একটি ক্যাপাসিটর (Cs) যুক্ত থাকে। আমরা জানি ক্যাপাসিটরের মধ্যে কারেন্ট ভোল্টেজ হতে এগিয়ে থাকে। সুতরাং সহায়ক কারেন্ট (IA) প্রধান কারেন্ট (IM) হতে যত বেশি এগিয়ে থাকবে তত বেশি শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্র উৎপন্ন হবে। এবং মোটরের স্টার্টিং টর্ক তত বেশি হবে। মোটরের স্টার্টিং এর পর যখন ফুল-লোড স্পিডের ৭৫% অর্জিত হয় তখন সেন্ট্রিফিউগাল সুইচ (SC) এর মাধ্যমে ক্যাপাসিটরের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। ক্যাপাসিটর-স্টার্ট মোটরের টর্ক প্রায় ৩০০ গুণ বেশি হতে পারে। এর একটি টর্ক-স্পিড লেখচিত্র নিম্নে দেওয়া হল।

ক্যাপাসিটর-স্টার্ট ক্যাপাসিটর-রান মোটর

ক্যাপাসিটর-স্টার্ট ক্যাপাসিটর-রান মোটরের গঠন ক্যাপাসিটর স্টার্ট মোটরের মতই কিন্তু এতে ২টি ক্যাপাসিটর থাকে। মোটর স্টার্টিং এ একটি ক্যাপাসিটর (CStart) ব্যবহার করা হয় এবং স্টার্টিংয়ের পর এর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়। কিন্তু এই মোটরে আরো একটি ক্যাপাসিটর (CRun) থাকে যা স্টার্টিংয়ের পরেও ব্যবহৃত হয়। CStart ক্যাপাসিটরের মান সাধারণত CRun ক্যাপাসিটরের চাইতে বেশি হয়ে থাকে। পার্মানেন্ট ক্যাপাসিটর তথা CRun এর মান CStart এর ১০-২০% পর্যন্ত হয়ে থাকে। মোটর ৭৫% স্পিড অর্জন করার পর সেন্ট্রিফিউগাল সুইচের মাধ্যমে CStart কে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় এবং তারপর CRun ক্যাপাসিটর সহ মোটর চলতে থাকে। এই ধরণের মোটরের স্টার্টিং টর্ক অনেক বেশি থাকে কিন্তু ক্যাপাসিটর-স্টার্ট মোটরের থেকে কম। এর একটি টর্ক-স্পিড লেখচিত্র নিম্নে দেওয়া হল।

পার্মানেন্ট ক্যাপাসিটর মোটর

কখনো কখনো স্টার্টিং এর পর ক্যাপাসিটরের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় না। এ ধরনের মোটরকে পার্মানেন্ট ক্যাপাসিটর মোটর বলা হয়। যদি ক্যাপাসিটরের মান সঠিক ভাবে নির্বাচন করা হয় তাহলে একটি নির্ধারিত পরিমাণ লোডের লোডের জন্য চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করে। এবং এটি অনেকটা থ্রি-ফেইজ মোটরের মতই কাজ করবে। পার্মানেন্ট ক্যাপাসিটর মোটরের গঠন ক্যাপাসিটর-স্টার্ট মোটরের চাইতে সরল কারন এখানে কোন সেন্ট্রিফিউগাল সুইচের প্রয়োজন পরে না। কিন্তু এ ধরণের মোটরের স্টার্টিং টর্ক একটু কম হয়ে থাকে। তারপরেও পরিমিত লোডে মোটরের দক্ষতা অনেক বেশি থাকে তার সাথে Power-Factor ও অনেক বেশি হয়। এই ধরণের মোটরে একটি মসৃণ স্টার্টিং টর্ক পাওয়া যায়। পার্মানেন্ট ক্যাপাসিটর মোটরের টর্ক-স্পিড লেখচিত্র নিম্নে দেওয়া হল।
