হাইব্রিড সুইচগিয়ার নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা

সুইচগিয়ার নিয়ে কত আর্টিকেলই না আমরা পড়েছি। কিন্তু হাইব্রিড সুইচগিয়ারের কথা আমরা কি শুনেছি? আজ হাইব্রিড সুইচগিয়ারের কথা আমরা আলোচনা করব। শুরুতেই হাইব্রিড সুইচগিয়ার মহাশয়ের পরিচিতিটা নিয়ে কথা বলে নিতে চাই।

হাইব্রিড সুইচগিয়ার কি?

হাইব্রিড সুইচগিয়ার
হাইব্রিড সুইচগিয়ার

হাইব্রিড সুইচগিয়ার মূলত একটি কমপ্যাক্ট সুইচগিয়ার যেখানে AIS-এর ইউটিলিটিগুলি GIS-এর সাথে ইন্টারফেস করা হয়। এখানে AIS এর অর্থ হল এয়ার ইন্সুলেটেড সুইচগিয়ার এবং GIS হল গ্যাস ইন্সুলেটেড সুইচগিয়ার।

GIS (Gas Insulated Substation) সাবস্টেশন

এ সাবস্টেশন একটি গ্যাস ইন্সুলেটিং চেম্বার দিয়ে আবদ্ধ থাকে এবং এক্ষেত্রে সালফার হেক্সাফ্লোরাইড গ্যাস ব্যবহার করা হয়। একটি মেটালিক চেম্বার এই গ্যাস ধারণ করে যেখানে ফেইজ, নিউট্রাল লাইন, সার্কিট ব্রেকার, লাইটনিং এরেস্টার এবং ইন্টারাপ্টার চেম্বার এসব থাকবে।

AIS (Air Insulated Substation) সাবস্টেশন

এই ধরনের সাবস্টেশনে ফেজ টু ফেজ এবং ফেজ টু গ্রাউন্ড ইন্সুলেশনের জন্য বায়ুকে প্রাথমিক ডাই-ইলেকট্রিক মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এটি অনেক পুরো সাবস্টেশন ইন্সুলেটিং সিস্টেম। সাধারণত যেসব স্থানে জনমানব কম এবং বাতাস দূষণমুক্ত সেসব স্থানের সাবস্টেশনগুলোতে AIS (Air Insulated Substation) সিস্টেম ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আর এ কারণে বেশিরভাগ পল্লী অঞ্চলের সাবস্টেশনগুলোতে এই সিস্টেম ব্যবহার করা হয়। শহরাঞ্চলে পরিবেশের বায়ু দূষিত বলে শহরাঞ্চলের সাবস্টেশনগুলোতে এই সিস্টেম ব্যবহার করা হয়না।

কেন হাইব্রিড সুইচগিয়ারের দরকার?

হাইব্রিড সুইচগিয়ার হল এমন একটি সুইচগিয়ার যা মূলত AIS ভিত্তিক সুইচগিয়ারসহ সাবস্টেশনের সংস্কার এবং সম্প্রসারণে ব্যবহৃত হয় যেখানে সাবস্টেশনটিকে পরিষেবায় রেখে এই ধরনের পরিবর্তনগুলোকে সম্পন্ন করা প্রয়োজন। ব্যয়বহুল জমির হার, পাশাপাশি বিনামূল্যে জমির অনুপলব্ধতা এবং ক্রমবর্ধমান জটিল অনুমোদন প্রক্রিয়া সাবস্টেশনগুলোর উন্নয়নে স্থান এবং সময়কে প্রধান ব্যয় ফ্যাক্টর করে তুলেছে। হাইব্রিড সুইচগিয়ার এ সময়ে আধুনিক বিশ্বের চাহিদাগুলির সাথে একটি সাবস্টেশনকে খাপ খাইয়ে নেওয়ার সুযোগ দেয় এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো অতিরিক্ত জায়গার প্রয়োজন ছাড়াই এতে সার্কিট ব্রেকার, সুইচ, ডিস-কানেক্টর এবং ট্রান্সফরমার একটি বদ্ধ স্পেসে থাকে।

আজকের প্রতিযোগিতামূলক এবং চ্যালেঞ্জিং বিশ্বে প্রত্যেকেরই আরও বেশি করে শক্তির এবং আশ্রয়ের প্রয়োজন দ্রুত বাড়ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে, পাওয়ার সাবস্টেশনগুলো সফলভাবে এবং অর্থনৈতিকভাবে ব্যবহারকারীদের প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য আরও বেশি করে একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হয়ে উঠছে।

হাইব্রিড সাবস্টেশনের বৈশিষ্ট্যসমূহঃ

  • উচ্চ নির্ভরযোগ্যতা আছে
  • এটি অনেক ইফেক্টিভ
  • তুলনামূলক অল্প পরিসরে স্থাপন
  • সিম্পল স্ট্রাকচারের
  • রক্ষণাবেক্ষণে তেমন খরচ নেই

তাই আমরা বলতে পারি যে আমাদের আধুনিক বিশ্বের এমন ধরনের পাওয়ার সাবস্টেশনের প্রয়োজন যা এই ধরনের কঠিন প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে পারে এবং এটি মালিকদের জন্য লাভজনক হওয়া উচিত। বর্তমানে, বিদ্যমান সাবস্টেশনের প্রায় 60% খুব দ্রুত অকেজো হয়ে পড়ে। প্রচলিত এয়ার ইনসুলেটেড সুইচগিয়ার প্রতিস্থাপন লাভজনক নয়। তাই হাইব্রিড সাবস্টেশনের উপর গুরুত্ব দেয়া সময়ের দাবি।

আরো কিছু আর্টিকেল পড়ুন

230/132 kV সাবস্টেশন কিভাবে কমিশনিং করা হয়? | সাবস্টেশন কমিশনিং কি?

লোডশেডিং কোথায় থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়? | NLDC / বৈদ্যুতিক পোল /লোকাল সাবস্টেশন?