ইলেকট্রিক চার্জ সম্বন্ধে আলোচনা | বৈদ্যুতিক আধান

Charge একটি ইংরেজি শব্দ যার বাংলা অর্থ হচ্ছে আধান। এটি মূলত পদার্থের পরমানুর ভেতরের একটা বৈশিষ্ট্য। চার্জ হল বস্তুর ইলেকট্রনিয় অবস্থা। যখন একটি পরমাণু অতিরিক্ত ইলেক্টন গ্রহণ বা বর্জন করে তখন সেই অবস্থাকে চার্জিত পরমাণু বলে।

যেসব সূক্ষ কণিকা দিয়ে পরমাণু গঠিত তাদেরকে মৌলিক কণিকা বলে, এরা হচ্ছে ইলেকট্রন, প্রোটন এবং নিউট্রন।

ইলেকট্রন বর্জন বা ত্যাগ করাকে ধনাত্বক চার্জ (+ve) এবং ইলেক্টন গ্রহণ করাকে ঋণাত্বক চার্জ (-ve) বলে। চার্জ এর একক হচ্ছে কুলম্ব যাকে C দ্বারা প্রকাশ করা হয়ে থাকে।

এক ইলেকট্রনের চার্জ হচ্ছে = -1.602 x 10-19 C. প্রোটন এর চার্জ হচ্ছে = +1.602 x 10-19 C

চার্জ এর মান সবসময় পূর্ণ সংখ্যার হয় যেমনঃ 2e, 4e, 6e ইত্যাদি।

পরমানুর চার্জকে দুইভাগে ভাগ করা যায়ঃ

  1. ক্যারিয়ার চার্জ।
  2. আয়োনিক চার্জ।

যেসকল চার্জ কোন জায়গায় ঘুরাঘুরি করার ফলে কারেন্ট প্রবাহ শুরু করে তাদেরকে ক্যারিয়ার চার্জ বলে যেমনঃ হোল, ইলেকট্রন। এরা যখন কন্ডাক্টর দিয়ে চলাফেরা করে তখনি কারেন্ট প্রবাহ শুরু হতে থাকে।

আয়োনিক চার্জ যেখানে থাকে সেখানে এটোম এর চারপাশে একটি ইলেকট্রিক ফিল্ড তৈরি হয়ে থাকে। আমরা জানি হোল বলতে ইলেকট্রনের অনুপস্থিতি কে বুঝায় এবং পরিবাহী পদার্থগুলোতে ইলেকট্রন চলাচল করার ফলে চার্জ ও চলাচল করে থাকে। আর অর্ধপরিবাহিগুলোতে হোল এবং ইলেকট্রন উভয় চলাচল করে ফলে চার্জ ও চলাচল করে।