AVR/এভিআর/অটোমেটিক ভোল্টেজ রেগুলেটর নিয়ে গল্প

অটোমেটিক ভোল্টেজ রেগুলেটর

পড়াশোনায় মন বসছেনা তাইনা? কখনো কখনো খুব মনযোগ আসে আবার কখনো কখনো একদম আলসে ভাব চলে আসে। মাঝেমধ্যে ভোল্টেজ ল্যাবের মজার আর্টিকেলগুলোও পড়ে দেখতে ইচ্ছে হয়না। এটি কেবল মনোযোগের অস্থিতিশীলতার কারণেই ঘটে থাকে। এমতবস্থায় কোন একজন ভাল মোটিভেটর যদি আপনাকে মোটিভেইট করে আপনার মনযোগকে বুস্ট আপ করে তাহলে মন্দ কি?

বাস্তব উপমার সাহায্যে অতোমেটিক ভোল্টেজ রেগুলেটর এর পরিচিতি
মনোযোগে অস্থিতিশীলতা

আর অল্টারনেটরের ভোল্টেজ যখন আপনার মনোযোগের ন্যায় অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে তখন সেই ভোল্টেজকে মোটিভেইট করে স্থিতিশীল পর্যায়ে নিয়ে যায় অটোমেটিক ভোল্টেজ রেগুলেটর। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোল্টেজ নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহৃত হয়। এটি অস্থিতিশীল ভোল্টেজ নেয় এবং তাকে স্থিতিশীল ভোল্টেজে পরিবর্তন করে।

ভোল্টেজের ওঠানামার মূল কারণ

ওঠানামা মূলত সরবরাহ ব্যবস্থায় লোডের পরিবর্তনের কারণে ঘটে। ভোল্টেজের অস্থিতিশীল প্রবণতা পাওয়ার সিস্টেমের সরঞ্জামগুলির ক্ষতি করে। বিভিন্ন জায়গায় যেমন ট্রান্সফর্মার, জেনারেটর, ফিডার ইত্যাদির কাছে ভোল্টেজ নিয়ন্ত্রণ সরঞ্জাম ইনস্টল করে ভোল্টেজের তারতম্যটি নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। তাই ভোল্টেজ নিয়ন্ত্রণের জন্য ভোল্টেজ নিয়ন্ত্রক পাওয়ার সিস্টেমে একাধিক পয়েন্টে সরবরাহ করা হয়।

ডিসি সরবরাহ ব্যবস্থায় সমান দৈর্ঘ্যের ফিডারগুলির ক্ষেত্রে compound generator ব্যবহার করে ভোল্টেজ নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তবে বিভিন্ন দৈর্ঘ্যের ফিডারের ক্ষেত্রে ফিডার বুস্টার ব্যবহার করে প্রতিটি ফিডারের ভোল্টেজ স্থির রাখা হয়। এসি সিস্টেমে বিভিন্ন পদ্ধতি যেমন বুস্টার ট্রান্সফর্মার, ইন্ডাকশন রেগুলেটর, শান্ট কনডেন্সার ইত্যাদি ব্যবহার করে ভোল্টেজ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

অটোমেটিক ভোল্টেজ রেগুলেটরের কার্যপ্রণালী

এটি ত্রুটিগুলি সনাক্ত করার নীতিতে কাজ করে। কোনও এসি জেনারেটরের আউটপুট ভোল্টেজ পটেনশিয়াল ট্রান্সফরমারে পাঠানো হয় এবং তারপরে এটি সংশোধন, ফিল্টার এবং একটি রেফারেন্সের সাথে তুলনা করা হয়। প্রকৃত ভোল্টেজ এবং রেফারেন্স ভোল্টেজের মধ্যে পার্থক্যটি ত্রুটি ভোল্টেজ হিসাবে পরিচিত। এই ত্রুটিপূর্ণ ভোল্টেজটি এমপ্লিয়ারের মাধ্যমে এমপ্লিফাই করা হয়। তারপর তা মেইন এক্সাইটার অথবা পাইলট এক্সাইটারে সরবরাহ করা হয়।

আর এভাবে এমপ্লিফাইড সিগন্যালটি বাক বা বুস্ট একশনের মাধ্যমেই মেইন বা পাইলট এক্সাইটারের এক্সাইটেশন নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এক্সাইটারের আউটপুট কন্ট্রোল মূল অল্টারনেটর টার্মিনালে নিয়ে যাওয়া হয়।

এই পুরো ব্যাপারটিকে একটি সুন্দর উপমার সাহায্যে ব্যাখ্যা করা যায়। ধরুন, আপনি কাজ করতে করতে আকস্মিকভাবে কাজ করার এনার্জি হারিয়ে ফেলেছেন। তখন আপনি এক কাপ হরলিক্স খেয়ে নিলেন এবং এনার্জিকে বুস্ট আপ করলেন এবং এই অর্জিত শক্তি আপনার মূল দেহে সঞ্চিত হল। এখানে হরলিক্স এমপ্লিফায়ারের মত কাজ করেছে এবং আপনার দেহটি অল্টারনেটরের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

অটোমেটিক ভোল্টেজ রেগুলেটর সার্কিট
অটোমেটিক ভোল্টেজ রেগুলেটর সার্কিট

অটোমেটিক ভোল্টেজ রেগুলেটরের ব্যবহারিক ক্ষেত্র

স্বয়ংক্রিয় ভোল্টেজ রেগুলেটরের ব্যবহারিক ক্ষেত্র নীচে উল্লেখিত হলঃ

  • এটি সিস্টেমের ভোল্টেজকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং মেশিনকে একটি স্থিতিশীল ভোল্টেজে পরিচালনা করে
  • এটি প্যারালালে সংযুক্ত সকল জেনারেটরের মধ্যে রিয়েক্টিভ লোডগুলোকে বিভক্তকরণে সক্ষম
  • অটোমেটিক ভোল্টেজ রেগুলেটর ওভারভোল্টেজ কমিয়ে আনে যা সিস্টেমে লোড পরিবর্তনের কারণে ঘটে থাকে
  • এটি ত্রুটিপূর্ণ অবস্থায় সিস্টেমের এক্সাইটেশন বৃদ্ধি করে সিনক্রোনাইজেশনে এ ব্যাঘাত ঘটতে বাধা প্রদান করে
  • যখন কোন সিস্টেমে লোডের পরিবর্তন হয় তখন জেনারেটরের এক্সাইটেশনে ব্যাঘাত ঘটে। ফলশ্রুতিতে ভোল্টেজের তারতম্য এবং অল্টারনেটর সিনক্রোনাইজেশনে ব্যাঘাত ঘটে। এমতবস্থায় অল্টারনেটরকে স্থিতিশীল অবস্থায় আনতে অটোমেটিক ভোল্টেজ রেগুলেটরের কোন বিকল্প নেই।

আরো কিছু পোস্ট নিচে দেয়া হল

গল্পে গল্পে বৈদ্যুতিক পাখার গতি এবং বিদ্যুৎ বিলের সম্পর্ক নিরুপণ

গল্পে গল্পে ইলেকট্রিক্যাল টাইমার নিয়ে আড্ডা