“প্রোপালশন” টপিকটি অনেকের জন্য নতুন হতে পারে। আমরা চোখের সামনে রকেট, উড়োজাহাজ, জেট প্লেনকে উড়ে যেতে দেখি৷ গাড়িতে শত কিলোমিটার স্পীড নিয়ে ঘুরে বেড়াই বান্ধবীর সাথে। কিন্তু কল্পনা করেছেন কি এই ড্রাইভিং বা মুভমেন্ট ফোর্স আসে কোথা হতে? আশা করি, থ্রিল শুরু হয়ে গেছে। চলুন এবার মূল আলোচনায় আসা যাক।
ইলেকট্রিক প্রোপালশন
- মনে করুন, আপনি এক জায়গা থেকে এক জায়গা গেলেন। এখন যদি প্রশ্ন করি কিভাবে গেলেন? নিশ্চয়ই কোন এক শক্তি আপনার মধ্যে চলার সামর্থ্য তৈরি করেছে। এই সামর্থ্য বা বলকে বলে Thrust Force।
- এবার একই ফ্যাক্ট আকাশযানের ক্ষেত্রে ভাবুন। আমরা সবাই জানি, ইঞ্জিন বা জ্বালানি এই মেকানিক্যাল এনার্জি তৈরি করে। কিন্তু যদি বলি এই ফোর্স ইলেকট্রিক্যাল এনার্জির মাধ্যমেও তৈরি করা যাবে?
- নিশ্চয়ই সেটা অবাক হবার ব্যাপার নয়। কারণ ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড ড্রাইভিং কিংবা পুলিং ফোর্সও তৈরি করতে পারে। একে বলে ইলেকট্রিক্যাল প্রোপালশন। অবাক করার তথ্য এই যে, এই ধরনের প্রোপালশন পদ্ধতি ক্যামিকেল প্রোপালশন পদ্ধতি থেকে ২০ গুণ বেশি শক্তিশালী এবং কার্যকরী।
ইলেকট্রিক প্রোপালশনের গঠন পদ্ধতি
ইলেকট্রিক প্রোপালশন চারটি অংশ নিয়ে গঠিত। যথাঃ
১) থ্রাস্ট ফোর্স ক্রিয়েটিং কম্পোনেন্ট
২) প্রোপেলেন্ট কম্পোনেন্ট এবং ফ্লুইড মেনেজমেন্ট সিস্টেম
৩) পাওয়ার কম্পোনেন্ট
৪) পয়েন্টিং মেকানিজম
ব্যবহারিক ক্ষেত্র
১) উড়োজাহাজ, রকেট উৎক্ষেপন
২) GEO (Ground Earth Orbit) স্যাটেলাইট
৩) LEO (Low earth orbit) স্যাটেলাইট
৪) MEO (Mid earth Orbit) স্যাটেলাইট
৫) জেট প্লেন
৬) মিশাইল নিক্ষেপণে
ইলেকট্রিক প্রোপালশন কিভাবে কাজ করে?
অনেকেই হয়তো অধীর আগ্রহে বসে আছেন যে, “ইলেকট্রিক প্রোপালশন” কিভাবে কাজ করে তা জানার জন্য। আর দেরি নয় চলুন জেনে নেয়া যাক।
- ব্যাপারটা খুবই সিম্পল। ধরুন, আপনার কাছে একটি কন্ডাক্টর বা পরিবাহী তার আছে। এখন আপনি এতে ই এম এফ বা ভোল্টেজ প্রয়োগ করলেন।
- আমরা জানি, যেখানেই বিদ্যুৎ প্রবাহ সেখানেই বিদ্যুৎ ক্ষেত্র এবং চৌম্বকক্ষেত্র সহবস্থান করে। তবে চৌম্বকশক্তি বা বলের কারণে এই দুই ক্ষেত্র একে অপরের উপর বা শূণ্য ডিগ্রী কোণে অবস্থান করতে পারেনা।
- এই চৌম্বকবলের কারণে এই দুই ক্ষেত্র পরস্পর ৯০ ডিগ্রী কোণে অবস্থান করে। আর এই চৌম্বকবলকে বলে লরেঞ্জ বল।
- মূলত লরেঞ্জ বলই ইলেকট্রিক প্রোপালশনের ক্ষেত্রে থ্রাস্ট বা ড্রাইভিং ফোর্স হিসেবে কাজ করে। বিদ্যুৎ ও চৌম্বকক্ষেত্রের এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়েই ইলেকট্রিক প্রোপালশন পদ্ধতির আবির্ভাব হয়েছে।
রাতারাতি প্রযুক্তিতে অনেক পরিবর্তন চলে আসে। আর এই পরিবর্তনের সাথে তাল মেলানো সত্যিই কষ্টকর। তাই ভোল্টেজ ল্যাব আপনাদের বিজ্ঞানভিত্তিক বিভিন্ন আর্টিকেল উপহারের মাধ্যমে এই তাল মেলাতে সাহায্য করবে। ধন্যবাদ।
আরো কিছু আর্টিকেল
ইলেকট্রিক্যাল পাওয়ার কি নেগেটিভ হতে পারে?