11kV ডিস্ট্রিবিউশন লাইনে ক্যাপাসিটর সাইজ নির্ধারণ পদ্ধতি

ক্যাপাসিটর মহোদয়ের সাথে আমরা সকলেই সুপরিচিত। পাওয়ার ইন্ডাস্ট্রিতে ক্যাপাসিটর মহাশয়ের ব্যাপক এপ্লিকেশন আছে। ইন্ডাস্ট্রিতে পিএফআই প্যানেলের মূল প্রাণ হল ক্যাপাসিটর। ইন্ডাস্ট্রি ছাড়াও পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি যেমন: পিডিবি, আরইবি, ডেস্কো, ডিপিডিসি, ওজোপাডিকো, নেস্কো এসব কোম্পানি তাদের ১১ কিলোভোল্ট লাইনে ক্যাপাসিটর ব্যাংক ব্যবহার করে থাকে। তিন চারটি ক্যাপাসিটর প্যারালাল সংযোগ করে তৈরি হয় ক্যাপাসিটর ব্যাংক। তাই ক্যাপাসিটর সাইজ সিলেকশন বড় একটি ফ্যাক্টর।

রাস্তাঘাটে চলাফেরা করার সময় আমরা বৈদ্যুতিক লাইনে ক্যাপাসিটর ব্যাংক দেখে থাকব। যারা চিনতে পারছেন না তারা ফিচার ইমেজের দিকে লক্ষ্য করুন। অনেকেই আমরা ক্যাপাসিটর ব্যাংক দেখেছি কিন্তু দেখার সময় হয়ত বুঝতে পারিনি তার ফাংশন কি বা কেন ব্যবহার করা হচ্ছে? আজ মূলত আমরা ১১ কিলোভোল্ট ডিস্ট্রিবিউশন লাইনের ক্যাপাসিটর সাইজ নির্ধারণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে আলোচনা করব।

১১ কিলোভোল্ট ডিস্ট্রিবিউশন লাইনে কি ধরনের ক্যাপাসিটর ব্যবহার করা হয় এবং কেন?

১১ কিলোভোল্ট ডিস্ট্রিবিউশন লাইনে ব্যবহৃত এই ক্যাপাসিটরগুলোকে বলা হয় আউটডোর শান্ট ক্যাপাসিটর যারা প্যারালালে সংযুক্ত থেকে লাইন ভোল্টেজ অপরিবর্তিত রাখতে পারে এবং পাওয়ার ফ্যাক্টর ইউনিটির কাছাকাছি রাখতে সাহায্য করে।

কারণ আমরা জানি, রিয়েক্টিভ এনার্জি সোর্স টু লোড এবং লোড টু সোর্স ফিডব্যাক দেয়। সেইক্ষেত্রে সিস্টেম লসজনিত সমস্যা এড়াতে দারুণভাবে সাহায্য করে। এবার জানা যাক কিভাবে এই আউটডোর শান্ট ক্যাপাসিটর সাইজ নির্ধারণ করা হয়?

আউটডোর শান্ট ক্যাপাসিটর সাইজ সিলেকশন

ক্যাপাসিটর মূলত কি করে? ক্যাপাসিটর স্যারের দুইটি ইলেকট্রোড বা ধাতব প্লেট থাকে যাতে ইলেকট্রিক চার্জ কুলম্ব সঞ্চিত থাকে। ধাতব প্লেট দুটোর মাঝে ইন্সুলেটর ব্যারিয়ার থাকে। যার দরুণ ডাই-ইলেকট্রিক সারফেসে কুলম্ব স্টোর হতে পারে। যদি বৈদ্যুতিক চার্জ (কুলম্ব) Q হয় এবং ভোল্টেজ V হয় তাহলে,

C = Q/V

অর্থাৎ ক্যাপাসিট্যান্স হল প্রতি একক ভোল্টেজে চার্জ স্টোরিং রেইট ক্যাপাসিটি।

আবার চার্জ (কুলম্ব) এর সংজ্ঞা দিতে গেলে বলতে হয়, নির্দিষ্ট সময় এবং এ সময়ে পরিবাহীতে প্রবাহিত বিদ্যুৎ প্রবাহকে গুণ করলে প্রাপ্ত গুণফলই হল চার্জ।

সেই অর্থে,

Q = it

তাহলে দুটি সমীকরণ তুলনা করলে পাওয়া যায়,

C = it/V

এখানে, নির্দিষ্ট সময় পরপর এমিটারের সাহায্যে এম্পিয়ার মেপে নিয়ে এম্পিয়ারের এভারেজ ভ্যালু এবং সময় নির্ণয় করে নেয়া হয়। তারপর ভোল্টেজের মান ১১ কিলোভোল্ট ধরে শান্ট ক্যাপাসিটরের মান নির্ধারণ করা হয়।

কিভাবে ক্যাপাসিটর সাজানো হবে?

একটি ক্যাপাসিটর বসানোর চেয়ে অনেকগুলো শান্ট ক্যাপাসিটর প্যারালালে বসানো হলে তা কার্যকর হবে। এতে পারফরমেন্স এবং ভোল্টেজ রেগুলেশনও উন্নত হবে।

আর্টিকেলটি ভাল লেগে থাকলে কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন। ডিস্ট্রিবিউশন লাইন সম্পর্কিত আরো মজাদার আর্টিকেল পেতে ভোল্টেজ ল্যাবের সাথেই থাকুন।

ডিস্ট্রিবিউশন লাইন নিয়ে আরো কিছু আর্টিকেল

ডিস্ট্রিবিউশন লাইনের ফল্টসমূহ সহজ ভাষায় আলোচনা

11 to 33 KV ডিস্ট্রিবিউশন লাইনে ড্রপ আউট ফিউজ | Drop Out Fuse

পাওয়ার লাইনে বিকট শব্দের পর বিদ্যুৎ চলে যায় কেন? | বিকট শব্দের রহস্য