এই লেখাতে যেসব বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছেঃ
- লোড ফ্যাক্টর (Load factor) কাকে বলে ?
- লোড ফ্যাক্টরের বিভিন্ন রুপ।
- ডাইভার্সিটি ফ্যাক্টর (Diversity factor) কাকে বলে ?
লোড ফ্যাক্টর (Load factor) কাকে বলে?
একটি নির্দিষ্ট সময়ের এভারেজ লোড (Average load) ও ম্যাক্সিমাম ডিমান্ড (Maximum demand) এর অনুপাতকে লোড ফ্যাক্টর (Load factor) বলে।
অর্থাৎ, লোড ফ্যাক্টর = এভারেজ লোড : ম্যাক্সিমাম ডিমান্ড
⇒ লোড ফ্যাক্টর = এভারেজ লোড / ম্যাক্সিমাম ডিমান্ড
⇒ লোড ফ্যাক্টর = উৎপাদিত শক্তি / (সময় × ম্যাক্সিমাম ডিমান্ড)
লোড ফ্যাক্টরের বিভিন্ন রুপঃ
- দৈনিক লোড ফ্যাক্টর = উৎপাদিত শক্তি (দৈনিক) / (২৪ ঘন্টা × ম্যাক্সিমাম ডিমান্ড)
- মাসিক লোড ফ্যাক্টর = উৎপাদিত শক্তি (১ মাসের) / (১ মাসের মোট ঘন্টা × ম্যাক্সিমাম ডিমান্ড)
- বার্ষিক লোড ফ্যাক্টর = উৎপাদিত শক্তি (১ বছরের) / (১ বছরের মোট ঘন্টা × ম্যাক্সিমাম ডিমান্ড)
মূলত লোড ফ্যাক্টর এর মান সব সময় এক ১ এর চেয়ে কম হয় কারণ এভারেজ লোড ম্যাক্সিমাম ডিমান্ড এর চেয়ে সব সময় কম থাকে। লোড ফ্যাক্টর যত বেশি হবে উৎপাদিত শক্তি ততোই বেশি ব্যবহার হবে এবং এর ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচও কমে যাবে। বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ কম রাখতে হলে প্ল্যান্টটিকে যত বেশি সময় সম্ভব তার পূর্ণ ক্ষমতায় চালানো উচিত, যাতে লোড ফ্যাক্টরের মান বেশি হয়।
উল্লেখ্য যে, লোড ফ্যাক্টরের কোন একক নেই একে মূলত শতকরা মানে (%) প্রকাশ করা হয়। দৈনিক, মাসিক অথবা বার্ষিক লোড কার্ভের ছকের ক্ষেত্রফলে বিদ্যুৎ শক্তির মান এবং সাথে সময় দেওয়া থাকলে তা থেকেও লোড ফ্যাক্টরের মান বের করা যায়।
ডাইভার্সিটি ফ্যাক্টর (Diversity factor):
একক বা স্বতন্ত্র (individual) গ্রাহকদের ম্যাক্সিমাম ডিমান্ড এর যোগফল ও পাওয়ার প্ল্যান্টের ম্যাক্সিমাম ডিমান্ড এর অনুপাতকে ডাইভার্সিটি ফ্যাক্টর (Diversity factor) বলা হয়।
অর্থাৎ, ডাইভার্সিটি ফ্যাক্টর = স্বতন্ত্র গ্রাহকের ম্যাক্সিমাম ডিমান্ড এর যোগফল : পাওয়ার প্ল্যান্টের ম্যাক্সিমাম ডিমান্ড
⇒ ডাইভার্সিটি ফ্যাক্টর = স্বতন্ত্র গ্রাহকের ম্যাক্সিমাম ডিমান্ড এর যোগফল / পাওয়ার প্ল্যান্টের ম্যাক্সিমাম ডিমান্ড
লোড ফ্যাক্টর ও ডিমান্ড ফ্যাক্টরের মান সব সময় ১ এর চেয়ে কম হলেও ডাইভার্সিটি ফ্যাক্টরের মান ১ এর মান চেয়ে বেশি হয়। বিদ্যুৎ প্রকল্প লাভজনকভাবে পরিচালনার করার জন্য ডাইভার্সিটি ফ্যাক্টরের মান সবসময় বেশি হওয়া বাঞ্চনীয়। কেননা ডাইভার্সিটি ফ্যাক্টর যতো বেশি হবে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ ততো কম হবে।
এ সম্পর্কিত অন্যান্য লেখাঃ
ম্যাক্সিমাম ডিমান্ড ও ডিমান্ড ফ্যাক্টর সম্বন্ধে পড়ুন।
কানেক্টেড লোড ও এভারেজ লোড সম্বন্ধে পড়ুন।
পাওয়ার প্ল্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারিং সম্বন্ধে পড়ুন।
ইলেকট্রিক্যাল সাবস্টেশন সম্বন্ধে সহজ ভাষায় আলোচনা।
সাবস্টেশনের বিভিন্ন উপাদান সম্বন্ধে আলোচনা।
সহজ ভাষায় পাওয়ার ফ্যাক্টর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা ও প্রশ্ন-উত্তর।