সাবস্টেশন শব্দটি শুনলেই চোখের সামনে যে ডিভাইসটি বেশি পরিলক্ষিত হয় তা হল কারেন্ট ট্রান্সফরমার। কারেন্ট ট্রান্সফরমার এক ধরনের বিশেষ মেজারিং ট্রান্সফরমার যার মাধ্যমে সাবস্টেশনের অধিক মাত্রার এম্পিয়ার পরিমাপ করা যায়। তাই এই কারেন্ট ট্রান্সফরমারের ৬টি টেস্ট খুবই জরুরি। আজ আমরা ৬টি টেস্ট নিয়ে খুব সংক্ষেপে জেনে নেয়ার চেষ্টা করব।
কারেন্ট ট্রান্সফরমারের ৪ টি টেস্ট
কারেন্ট ট্রান্সফরমারের ৪ টি টেস্ট নিচে উল্লেখ করা হলঃ
- রেশিও টেস্ট
- পোলারিটি টেস্ট
- এক্সাইটেশন টেস্ট
- ইন্সুলেশন রেজিস্ট্যান্স টেস্ট
রেশিও টেস্ট
CT রেশিও সম্পূর্ণ লোডে প্রাইমারি ইনপুট কারেন্ট এবং সেকেন্ডারি আউটপুট কারেন্টের অনুপাত হিসাবে বর্ণনা করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, 300:5 অনুপাতের একটি CT 5 amps সেকেন্ডারি কারেন্ট উৎপন্ন করবে যখন 300 amps কারেন্ট প্রাইমারি সাইডে প্রবাহিত হবে। প্রাইমারি কারেন্ট পরিবর্তন হলে, সেকেন্ডারি আউটপুট কারেন্ট সেই অনুযায়ী পরিবর্তিত হবে। উদাহরণস্বরূপ, যদি 150 amps একটি 300 amp রেটেড প্রাইমারির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয় তবে সেকেন্ডারি কারেন্ট আউটপুট হবে 2.5 amps।
একটি মাল্টিট্যাপ সিটির বিভিন্ন ট্যাপে CT এর অনুপাতটি নির্দিষ্ট করা থাকে। এই অনুপাতের একুরেসি প্রমাণ করার জন্য এবং অনুপাতটি সঠিক কিনা তা যাচাই করার জন্য রেশিও টেস্ট করা হয়। টার্নের অনুপাত পটেনশিয়াল ট্রান্সফরমারের ভোল্টেজ রেশিও এর সমতুল্য এবং নিম্নরূপ প্রকাশ করা যেতে পারে:
N2/N1=V2/V1
এখানে, N1, N2 = প্রাইমারি এবং সেকেন্ডারি টার্ন সংখ্যা
V1, V2 = প্রাইমারি এবং সেকেন্ডারি সাইডের পটেনশিয়াল
পোলারিটি টেস্ট
একটি সিটির কোরের চারপাশে যে দিকে কয়েলগুলো উইন্ডিং করা থাকে হয় (ঘড়ির কাঁটার দিকে বা ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে) এবং সিটি কেস থেকে কীভাবে লিডগুলো বের করা হয় তার দ্বারা নির্ধারিত হয়। সকল কারেন্ট ট্রান্সফরমারগুলো সাধারণত সাবস্ট্রেক্টিভ পোলারিটির হয়ে থাকে।
যেভাবে পোলারিটি টেস্ট করতে হয়ঃ
- পরীক্ষার আগে সমস্ত পাওয়ার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে এবং পরীক্ষা করার জন্য সিটির সেকেন্ডারি টার্মিনালে অ্যানালগ ভোল্টমিটারকে সংযুক্ত করুন। মিটারের পজিটিভ টার্মিনালটি সিটির টার্মিনাল X1 এর সাথে সংযুক্ত থাকবে যেখানে নেগেটিভ টার্মিনালটি X2 এর সাথে সংযুক্ত।
- CT উইন্ডোর উঁচু দিক দিয়ে একটি তারের টুকরো প্যাচাতে হবে এবং 9 ভোল্ট ব্যাটারির পজিটিভ প্রান্তের সাথে H1 সাইডের এবং H2 সাইডের নেগেটিভ প্রান্তের সাথে যোগ করুন।
- পোলারিটি ঠিক হলে, ক্ষণস্থায়ী কন্ট্যাক্ট পজিটিভ দিকে এনালগ মিটারে অল্প বিক্ষেপ ঘটায়। বিচ্যুতি ঋণাত্মক হলে, কারেন্ট ট্রান্সফরমারের পোলারিটি বিপরীত হয়। টার্মিনাল X1 এবং X2 রিভার্স করেও পরীক্ষাটি করা যেতে পারে।
এক্সাইটেশন টেস্ট
সিটির এক্সাইটেশন টেস্টের মূল উদ্দেশ্যে হল অল্প পরিমাণ ভোল্টেজ বৃদ্ধিতে কারেন্ট কি পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে তা যাচাই করা। কোরে এসি ভোল্টেজ প্রয়োগ করে মূলত এই পরীক্ষা করা হয়।
ইন্সুলেশন রেজিট্যান্স টেস্ট
সাধারণত মেগারের সাহায্যে ১০০০ ভোল্ট ডিসি ভোল্টেজ এপ্লাই করে ইন্সুলেটিং রেজিস্ট্যান্স পরিমাপ করা যায়। বারবার রেজিস্ট্যান্স পরিমাপ করে তার কন্টিনিউটি যাচাই করা যায়।
আরো কিছু আর্টিকেল
ওহমমিটারের বড় ভাই মেগার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা