আইসোলেটর নামটা শুনেই হয়ত অনেকেই চিনে ফেলেছেন। জি, হ্যা আপনি ঠিকই ভেবেছেন। সার্কিট ব্রেকারের খালাত ভাই আইসোলেটরের কথাই বলছি।
আইসোলেটর কি?
আইসোলেটর শব্দটি এসেছে “আইসোলেট” শব্দ থেকে। যার অর্থ হল আলাদা করা। একইভাবে আইসোলেটরও আলাদা করে। এটি এক ধরনের মেকানিকাল সুইচ।
প্রশ্ন হল কাকে কার কাছ থেকে আলাদা করে? লোডকে সাপ্লাই সংযোগ হতে আলাদা করে এই আইসোলেটর। সাধারণত অফ লোডে আইসোলেটর ব্যবহার করা হয়।
এবার আপনাদের বিভিন্ন প্রকার আইসোলেটরের সাথে পরিচয় করিয়ে দিব। চলুন শুরু করা যাক।
বিভিন্ন প্রকারের আইসোলেটরের পরিচিতি
আইসোলেটরের মেলায় আপনাদের আমি বেশ কিছু আইসোলেটর দেখাব। এই আইসোলেটরকে দুই ধরনে বিভক্ত করা হয়েছে।
ব্যবহারের ভিত্তিতে আইসোলেটর চার প্রকারঃ
- সিংগেল ব্রেক আইসোলেটর
- ডাবল ব্রেক আইসোলেটর
- পেন্টোগ্রাফ আইসোলেটর
- এম সি বি আইসোলেটর
সিংগেল ব্রেক আইসোলেটরঃ
- নাম শুনেই বুঝা যাচ্ছে এই আইসোলেটরের পরিচয়
- শুধুমাত্র একটি টার্মিনাল আইসোলেট করতে পারে। তাই এর নাম সিংগেল ব্রেক আইসোলেটর।
ডাবল ব্রেক আইসোলেটরঃ
- নাম শুনেই বুঝা যাচ্ছে এর কাজ।
- এই আইসোলেটর উভয় টার্মিনাল আইসোলেট করতে সক্ষম।
পেন্টোগ্রাফ আইসোলেটর
- এই ধরনের আইসোলেটরও দুই টার্মিনাল আইসোলেট করতে পারে।
- এ ধরনের আইসোলেটর রেলওয়েতে ইলেকট্রিক্যাল ট্রেনে ব্যবহার করা হয়। যা ইলেকট্রিক্যাল ট্রেন কিভাবে কাজ করে এই আর্টিকেলটিতে আমি শেয়ার করেছিলাম।
এম সি বি আইসোলেটর
মিনিয়েচার সার্কিট ব্রেকারের উভয়পাশে আইসোলেশনের জন্য যেসব আইসোলেটর ব্যবহার করা হয়, সেগুলোকেই এম সি বি আইসোলেটর বলে।
পজিশনের উপর ভিত্তি করে আইসোলেটর তিন ধরনেরঃ
- বাস সাইড
- ট্রান্সফার বাস সাইড
- লাইন সাইড
বাস সাইডঃ
প্যানেলের বাসবারের সাথে এই আইসোলেটর সংযুক্ত থাকে। ইলেকক্ট্রিক্যাল বাসবারে কোন ফল্ট হলে তখন এটি ব্যবহৃত হয়।
লাইন বাসঃ
লাইন এবং ফিডারের মধ্যে এই আইসোলেটর সংযুক্ত থাকে। সাবস্টেশন থেকে যেসব পয়েন্টে পাওয়ার সাপ্লাই যায় সেগুলোই হল ফিডার।
ট্রান্সফরমার বাসঃ
সেন্ট্রাল বাসবারে কোন ফল্ট হলে তখন এই বাসবার ব্যবহার করা হয়।
সার্কিট ব্রেকারের প্রকারভেদ আমরা অনেকবারই দেখেছি কিন্তু আইসোলেটরের প্রকারভেদ খুব কম দেখা বা জানা হয়েছে। তাই আজ আপনাদের সাথে আর্টিকেলটি শেয়ার করে ফেললাম। আশা করি ভাল লেগেছে।
আরো কিছু আর্টিকেল
ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের সুইচের সাথে পরিচিতি