প্রযুক্তির বদৌলতে এখন সবকিছুতেই পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। তার সংযুক্ত সকল ডিভাইস হচ্ছে তারবিহীন। এককালে যখন মানুষ বেতার প্রযুক্তি ব্যবহার করত তখন হয়ত ভাবতেও পারত না যে, বেতার প্রযুক্তিতে পৃথিবী এতো এগিয়ে যাবে। বেতার প্রযুক্তির একটি অনন্য উদাহরণ হল ওয়্যারলেস মাউস। আজকে অপটিক্যাল ওয়্যারলেস মাউস কিভাবে কাজ করে তা নিয়ে খুব সংক্ষিপ্তভাবে আলোচনা করব।
কম্পিউটার মাউস কি?
এটি অনেকটা ইঁদুরের মতো দেখতে তাই এর নাম মাউস। এক সরু প্রান্ত থেকে একটি তার সরাসরি সিপিইউ-এ সংযুক্ত থাকে। মাউসের উপরিভাগে দুটো চাপ দেওয়ার জায়গা আছে (অবশ্য অনেক মাউসে তিনটিও থাকে), এর ডান পাশের বোতামকে বলা হয় রাইট বাটন আর বাম পাশের বোতামকে বলা হয় লেফট বাটন। কম্পিউটার ওপেন করা থাকলে মাউস নাড়া দিলে একটি তীর চিহ্ন নড়া চড়া করে এটাকে বলা হয় মাউস পয়েন্টার। আর এই নাড়া চাড়া করাকে বলা হয় মাউস ড্রাগ করা। সাধারণত কোন ফাইল বা ফোল্ডারের আইকন সিলেক্ট বা নির্বাচন করতে হলে মাউসের পয়েন্টার তার ওপর নিয়ে মাউসের বাম পাশের বোতাম একবার চাপ দিলে তাকে বলে সিঙ্গল ক্লিক। আর ওটাকে ওপেন করতে মাউসের বাম পাশের বোতাম ঘনঘন দুবার চাপ দিতে হয় এই ঘনঘন দুবার চাপ দেওয়াকে বলে মাউসের ডবল ক্লিক। মাউসের ডান পাশের বোতাম চাপলে তাকে বলে রাইট ক্লিক। এই রাইট ক্লিক করে সাধারণত কোন ফাইল ফোল্ডার সিলেক্ট বা খোলা যায় না তবে এটা ব্যবহার করে তাৎক্ষণিক কিছু মেনু কমান্ড তালিকা পাওয়া যায়।
অপটিক্যাল মাউস কিভাবে কাজ করে?
অপটিক্যাল মাউসে খুব অল্প রেজুলেশনবিশিষ্ট ছোট ক্যামেরা লাগানো থাকে যা প্রতি সেকেন্ডে হাজারখানা ছবি তুলতে সক্ষম। এ ধরনের মাউসে CMOS (Complimentary Metal Oxide Sensor) ডিজিটাল সিগন্যাল প্রসেসরে সিগন্যাল প্রেরণ করে। ডিজিটাল সিগন্যাল প্রসেসর প্রতিটা পিকচার প্যাটার্ন, লাইট ইন্টেনসিটি বিবেচনা করে মাউস কার্শরকে স্ক্রীণে মুভ করে থাকে।
অপটিক্যাল মাউসে লাল রং এর LED মাউন্ট করা থাকে। যা CMOS সেন্সরে আলোর রশ্নির প্রতিসরণ ঘটায়। ডি এস পি বা digital signal processor প্রতি সেকেন্ডে মিলিয়ন ইন্সট্রাকশন বা ইমেজ প্যাটার্ন এনালাইজ করতে পারে। এর ভিত্তিতে তা মাউসের অবস্থান অনুধাবন করে ক্রীনে কার্শরের অবস্থান ফুটিয়ে তুলতে পারে।
অপটিক্যাল মাউসের উপকারিতা
- অপটিক্যাল মাউসের অপারেশন খুব স্মুথ, সহজ।
- অপটিক্যাল মাউসের ভেতর বাইরের ধুলাবালি সহজে প্রবেশ করতে পারেনা।
- অপটিক্যাল মাউস খুব ইফিশিয়ান্ট।
- এ ধরনের মাউস দীর্ঘস্থায়ী হয়।
সাধারণত এ ধরনের মাউসে লাল আলোর এল ই ডি ব্যবহার করা হয় কেন?
লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য অনেক বেশি হবার কারণে এর বিক্ষেপণ খুব কম। যার কারণে তা সিস্টেমে বেশি পরিমাণে কন্সেন্ট্রেড করতে পারে। আর আলোর কন্সেন্ট্রেশন বেশি হলেই CMOS সেন্সর তত সক্রিয় হয়ে উঠবে।
আরো কিছু আর্টিকেল পড়ুন
ট্রান্সমিশন লাইনে ব্যবহৃত অপটিক্যাল গ্রাউন্ড ওয়্যার | Optical Ground ওইরে