পিক লোড ও বেস লোড | Peak Load Base Load

পাওয়ার স্টেশন বা বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে লোডের পরিবর্তনের কারণে লোড কার্ভ বিভিন্ন প্রকৃতির হয়ে থাকে। নিচের চিত্রে একটি লোড কার্ভ দেখানো হলোঃ

লোড কার্ভ

চিত্র হতে এটা স্পষ্ট যে, পাওয়ার স্টেশনে বিভিন্ন সময়ে লোড বিভিন্ন হয়। পাওয়ার স্টেশনের লোডকে মূলত ২ টি ভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ

১. বেস লোড (Base load) ও
২. পিক লোড (Peak load)

প্রতিদিনের চাহিদা পূরণ করতে বেস লোডে সব সময় পাওয়ার প্ল্যান্ট চালানো হয়। আর যখন অধিক পাওয়ারের প্রয়োজন হয় তখন পিক লোডে পাওয়ার প্লান্ট চালানো হয়।

১. বেস লোড (Base load):

পাওয়ার স্টেশনে দিনের বেশির ভাগ সময়ে যে লোড অপরিবর্তিত অবস্থায় থাকে তাকে বেস লোড (Base load) বা মূল লোড বলা হয়। বেস লোড এমন একটি স্তর যা সব সময় প্রয়োজন হয় এবং সাধারণত এর নিচে লোড যায় না। নিচের চিত্রটি লক্ষ্য করিঃ

বেস লোড ও পিক লোড

চিত্রে হতে দেখতে পাচ্ছি যে, স্টেশনের লোড মাঝে মাঝে বৃদ্ধি পেলেও ২০ মেগাওয়াট লোড সর্বদা অপরিবর্তিত রয়েছে তাই এখানে ২০ মেগাওয়াট লোড-ই হচ্ছে স্টেশনের বেস লোড (Base load) বা মূল লোড।

২. পিক লোড (Peak load):

পিক লোড বলতে পাওয়ার স্টেশনের বেস লোডের উপরে লোডের বিভিন্ন পিক ডিমান্ডকে বুঝানো হয়। এটি সাধারণত সকালের দিকে সর্বনিম্ন ও সন্ধ্যার দিকে সর্বোচ্চ থাকে। উপরের লোড কার্ভ হতে স্পষ্ট বুঝতে পারছি যে, বেস লোড বাদে বাকি যে দুই সময়ে হঠাৎ করে যে লোড বৃদ্ধি পেয়েছে তা হচ্ছে পিক লোড। সাধারণত একটি পাওয়ার স্টেশন সর্বমোট লোডের সামান্য একটা সময়ে পিক লোডে থাকে।

এ সম্পর্কিত অন্যান্য লেখা পড়ুনঃ

প্ল্যান্ট ক্যাপাসিটি ফ্যাক্টর ও প্ল্যান্ট ইউজ ফ্যাক্টর পড়ুন

ম্যাক্সিমাম ডিমান্ড ও ডিমান্ড ফ্যাক্টর সম্বন্ধে পড়ুন।

লোড ফ্যাক্টর ও ডাইভার্সিটি ফ্যাক্টর সম্বন্ধে পড়ুন।

কানেক্টেড লোড ও এভারেজ লোড সম্বন্ধে পড়ুন

লোড কার্ভ সম্বন্ধে পড়ুন।

পাওয়ার প্ল্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারিং সম্বন্ধে পড়ুন।

ইলেকট্রিক্যাল সাবস্টেশন সম্বন্ধে সহজ ভাষায় আলোচনা।

সাবস্টেশনের বিভিন্ন উপাদান সম্বন্ধে আলোচনা।

সহজ ভাষায় পাওয়ার ফ্যাক্টর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা ও প্রশ্ন-উত্তর।

পাওয়ার ফ্যাক্টর ইমপ্রুভমেন্ট ও ক্যালকুলেশন।