এই লেখাতে যেসব বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছেঃ
- ম্যাক্সিমাম ডিমান্ড (Maximum demand)
- ডিমান্ড ফ্যাক্টর (Demand Factor)
- ডিমান্ড ফ্যাক্টর (Demand Factor) এর গাণিতিক রুপ।
ম্যাক্সিমাম ডিমান্ড (Maximum demand):
কোন একটি নির্দিষ্ট সময়ে (১ দিন) লোডের সর্বোচ্চ চাহিদাকে ম্যাক্সিমাম ডিমান্ড (Maximum demand) বা সর্বোচ্চ চাহিদা বলে। একে সাধারণত কিলোওয়াট (kW) -এ প্রকাশ করা হয়।
একটি পাওয়ার প্ল্যান্ট বা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের লোড সব সময় একই থাকে না, সময়ে সময়ে এটি পরিবর্তিত হয়। নিচে একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের লোড কার্ভ দেখানো হলো, চিত্রটি লক্ষ্য করুন-
এখানে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, উক্ত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এক দিনের ম্যাক্সিমাম ডিমান্ড হচ্ছে ৬ মেগাওয়াট এবং এটি ঘটেছিলো সন্ধা ৬ টায়। যেহেতু সকল গ্রাহক একই সময়ে একসাথে তাদের সংযোজিত লোডের সকল সুইচ অন করে না সেহেতু ম্যাক্সিমাম ডিমান্ড (Maximum demand) সাধারণত কানেক্টেড লোড (Connected load) থেকে কম হয়ে থাকে।
একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইনস্টল ক্যাপাসিটি বের করার জন্য ম্যাক্সিমাম ডিমান্ড সম্বন্ধে জ্ঞান থাকা খুবই জরুরি। কেননা বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিকে তার ম্যাক্সিমাম ডিমান্ড মেটাতে সক্ষম হতে হবে।
ডিমান্ড ফ্যাক্টর (Demand Factor):
একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ম্যাক্সিমাম ডিমান্ড (Maximum demand) ও কানেক্টেড লোড (Connected load) -এর অনুপাতকে ডিমান্ড ফ্যাক্টর (Demand factor) বলা হয়।
গানিতিকভাবে একে নিম্নোক্তভাবে প্রকাশ করা হয়ঃ
ডিমান্ড ফ্যাক্টর = সর্বোচ্চ লোড : কানেক্টেড লোড
ডিমান্ড ফ্যাক্টর = সর্বোচ্চ লোড / কানেক্টেড লোড
ডিমান্ড ফ্যাক্টর এর মান সাধারণত ১ এর চাইতে কম হয়। এর কারণ হচ্ছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ম্যাক্সিমাম ডিমান্ড সর্বদা কানেক্টেড লোড থেকে কম হয়ে থাকে।
যদি একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ম্যাক্সিমাম ডিমান্ড ৮০ মেগাওয়াট এবং কানেক্টেড লোড ১০০ মেগাওয়াট হয়, তাহলে ঐ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ম্যাক্সিমাম ফ্যাক্টর = (৮০/১০০) মেগাওয়াট = ০.৮ মেগাওয়াট।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিভিন্ন equipment এর capacity নির্ণয় করার জন্য ডিমান্ড ফ্যাক্টর সম্বন্ধে জ্ঞান রাখা জরুরি।
এ সম্পর্কিত অন্যান্য লেখাঃ
কানেক্টেড লোড ও এভারেজ লোড সম্বন্ধে পড়ুন
পাওয়ার প্ল্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারিং সম্বন্ধে পড়ুন।
ইলেকট্রিক্যাল সাবস্টেশন সম্বন্ধে সহজ ভাষায় আলোচনা।
সাবস্টেশনের বিভিন্ন উপাদান সম্বন্ধে আলোচনা।
সহজ ভাষায় পাওয়ার ফ্যাক্টর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা ও প্রশ্ন-উত্তর।
পাওয়ার ফ্যাক্টর ইমপ্রুভমেন্ট ও ক্যালকুলেশন।