ইতোমধ্যে আমরা লাইন সাপোর্ট কি এবং এর বৈশিষ্ট্য ও প্রকারভেদ সম্বন্ধে জেনেছি। এই লেখাতে আমরা অন্যতম একটি লাইন সাপোর্ট কাঠের পোল সম্বন্ধে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব। তাহলে চলুন শুরু করা যাক-
কাঠের পােল (Wooden pole):
কাঠের পোল বা কাঠের খুঁটি যা আমাদের কাছে বিদ্যুতের খুঁটি হিসেবে পরিচিত। এই ধরনের বিদ্যুতের পোল বা খুঁটি পাকা গাছের (সাল বা চির) কাঠ দ্বারা তৈরি করা হয়। সাধারণত গ্রাম অঞ্চলের পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন লাইনে ৫০ মিটারের কম দৈর্ঘের স্প্যানে এই ধরনের পোল বেশি দেখা যায়।
কাঠের পােলগুলো লম্বায় সাধারণত ৫ মিটার থেকে ১৫ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে । কাঠের পােল তৈরিতে শাল কাঠ সবচেয়ে বেশি উপযুক্ত। তবে শাল কাঠ ছাড়াও সেগুন, মেসুয়া, শিশু, দেবদারু ইত্যাদি কাঠ দ্বারাও কাঠের পোল তৈরি করা হয়।
কাঠের পােলের গঠন ‘A‘ টাইপ, ‘H‘ টাইপ ও ‘I‘ টাইপ হয়ে থাকে। ‘A‘ ও ‘H‘ টাইপ কাঠের পোলগুলো সাধারণত ‘I‘ টাইপ একক পােলের চেয়ে আড়াআড়িভাবে (Transverse) বেশি শক্তিশালী হয়। সাধারণত ডাবল পােলের গঠন ‘A‘ টাইপ বা ‘H‘ টাইপ হয়ে থাকে।
তবে বর্তমান সময়ে কাঠের পোলের ব্যবহার তেমন একটা নেই বললেই বলে।
কাঠের পোলের সুবিধা:
কাঠের পোল ব্যবহারের সুবিধাগুলো হলো:
- কাঠের পােলের দাম কম, সহজেপ্রাপ্য ও ইনসুলেশন গুণবলীযুক্ত হয়।
- কাঠের পােল সাইজ করতে (formation) খরচ কম হয়।
- এই পোল ভালােভাবে ট্রিটমেন্ট করলে অনেক দিন ভালো থাকে।
- কাঠের পোলকে আলকাতরা মিশ্রিত ক্রিয়োজোট তেল (creosote oil) বা কপার ক্রোম আর্সেনিক ব্যবহার করে খুব সহজেই ট্রিটমেন্ট করার যায়।
কাঠের পোলের অসুবিধা:
কাঠের পোল ব্যবহারের প্রধান অসুবিধাগুলো হলো:
- যেহেতু এই পোলগুলাের গােড়া মাটির নিচে ১.২ মিটার থেকে ২ মিটার পর্যন্ত থাকে তাই এটি পঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
- তুলনামূলকভাবে এর স্থায়িত্ব কম হয় (২০ থেকে ২৫ বছর)।
- ২০ কে.ভি. এর চেয়ে বেশি ভোল্টেজ লাইনে ব্যবহার করা যায় না।
- কাঠের পোলের যান্ত্রিক শক্তি কম এবং
- প্রতিনিয়ত এই পোল পরিদর্শন করতে হয়।
লাইন সাপোর্ট সম্বন্ধে বিস্তারিত জানতে নিচের লিংকসমূহে ভিজিট করুনঃ
লাইন সাপোর্ট কি, বৈশিষ্ট্য ও প্রকারভেদ।
কাঠের পোল সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা।
স্টিলের পোল সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা।
আরসিসি পোল সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা।
স্টিলের টাওয়ার সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা।