পরিবাহী পদার্থগুলো হল মুক্ত ইলেকট্রনের আধার। এই মুক্ত ইলেকট্রনগুলোই মূলত বিদ্যুৎ প্রবাহের জন্য দায়ী। মুক্ত ইলেকট্রনগুলো যখন যোজন ব্যান্ড থেকে পরিবহন ব্যান্ডে চলে আসে তখনই বিদ্যুৎ প্রবাহ সম্ভবপর হয়ে উঠে। পরিবাহী, অর্ধপরিবাহী, অন্তরকের ব্যান্ড নিয়ে যাদের ধারণা নেই তারা গল্পে গল্পে রোধ ও তাপমাত্রার সম্পর্ক এই আর্টিকেলটি পড়ে নিতে পারেন।
মূল কথায় চলে আসা যাক। আজ গল্পের মাধ্যমে মুক্ত ইলেকট্রনের তাড়নবেগের ধারণা দিতে এসেছি। আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে। প্রথমে তাড়বেগের এর সাথে পরিচিত হয়ে নেয়া যাক।
তাড়নবেগ কি?
নাম শুনে বুঝা যাচ্ছে তাড়নবেগের সংজ্ঞা কি হতে পারে। অর্থাৎ, মুক্ত ইলেকট্রন মশাই কোন কিছুর তাড়া খাবে। কিন্তু কে তাকে তাড়া করবে?
যখন কোন পরিবাহীতে ব্যাটারি বা ভোল্টেজ প্রয়োগ করা হয় তখন তাতে বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের সৃষ্টি হয়। আর মুক্ত ইলেকট্রনগুলো তখন মুক্তভাবে বিচরণ করতে পারেনা।
মুক্ত ইলেকট্রনগুলো একে অপরের সাথে বিকর্ষিত হয় এবং পজিটিভ চার্জ কর্তৃক আকর্ষিত হয়। এই আকর্ষণ বিকর্ষণজনিত কারণে তার মধ্যে তাড়না বা ধাক্কার সৃষ্টি হয়। ফলে মুক্ত ইলেকট্রন পরিবাহীর যতটুকু পথ পাড়ি দেয়ার কথা তা দিতে পারেনা। কিছুটা বিচ্যুত হয়ে পড়ে। এই তাড়না থেকে প্রাপ্ত বেগকেই বলা হয় তাড়নবেগ।
মসজিদের মুসল্লী ও তাড়নবেগ
ব্যাপারটা একটি মজার উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে বলা যাক। ধরুন, জুমার দিনে আপনি মসজিদে নামায পড়তে গেলেন। এখন মসজিদ থেকে বেরিয়ে আসার দরজা একটাই। নামায শেষে এই দরজা দিয়ে অসংখ্য মুসল্লী যখন বের হতে চাইবে ধাক্কাধাক্কির সৃষ্টি হবেই।
এখন আপনি নিজেকে একটি মুক্ত ইলেকট্রন হিসেবে কল্পনা করতে পারেন। আশেপাশের মুসল্লীদের বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের পজিটিভ চার্জ বা মুক্ত ইলেকট্রন হিসেবে কল্পনা করতে পারেন।
এখন এ অবস্থায় ধাক্কা খেয়ে আপনার মধ্যে যে বেগের উদ্ভব হবে সেটাই হল তাড়নবেগ। আশা করি বুঝাতে পেরেছি।
তাড়নবেগের রাশিমালা
যদি কোন পরিবাহীর ক্ষেত্রফল A, এতে যদি n সংখ্যক মুক্ত ইলেকট্রন থাকে তাহলে তাড়নবেগের রাশিমালা হবে,
তাড়নবেগ সংক্রান্ত আর্টিকেলটি আশা করি আপনাদের বেশ ভালই লেগেছে। বিদ্যুৎ নিয়ে এরকম আরো মজার মজার আর্টিকেল পেতে ভোল্টেজ ল্যাবের সাথেই থাকুন। পাশে থাকুন, পাশে আছি। পাঠকদের ভালবাসি।
আরো কিছু আর্টিকেল
ইলেকট্রন এবং বিদ্যুৎ প্রবাহ বিপরীত কেন?
ভোল্টেজ এবং কারেন্ট নিয়ে কনফিউশন? ভোল্টেজ ও কারেন্ট গল্পের ছলে পড়ে নিন